ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (কেইআইপি)-এর বিরুদ্ধে কলকাতার কাউন্সিলরদের ক্ষোভের অন্ত নেই। বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা কাজ নিয়ে এলাকাবাসীর হয়রানির শেষ নেই বলে লাগাতার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি প্রকল্পের কাজের ধরন নিয়েও অভিযোগ উঠেছে বার বার। শনিবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে কেইআইপির বিরুদ্ধে এক কাউন্সিলর ক্ষোভপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে কমিটি গড়ে কাজ দেখভালের কথা ঘোষণা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অধিবেশনে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় বলেন, ‘‘কেইআইপি প্রকল্পের কাজের মূল দায়িত্ব কনসালটেন্টের। প্রজেক্ট শেষ করতে দেরি হওয়াতে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি?’’ সঙ্গে যোগ করেন, কেইআইপির একটি কাজে কুঁদঘাটে চার জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরই জানতে চান, সেই শ্রমিক পরিবারদের কি সাহায্য করা হয়েছে?
বাম কাউন্সিলরের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়র জানান, কেইআইপির ডিজি ছাড়াও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং, নিকাশি, টাউন প্ল্যানিং বিভাগের ডিজিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সঙ্গে ফিরহাদ আরও বলেন, ‘‘পুরসভার গঠিত তদন্ত কমিটি ওই ঘটনায় ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছিল। ফলে সংস্থাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’’ এ ছাড়া মেয়র জানান, ‘‘প্রকল্পের পুরনো কাজ নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। অনেক জায়গাতেই নিকাশি লাইনের কাজ ঠিকঠাক না হওয়ার অভিযোগও উঠেছে। তাই তৈরি হয়েছে মনিটরিং কমিটি। এত দিন কেইআইপির কাজে পুরসভা সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারত না। কিন্তু নতুন যে চুক্তি হচ্ছে, তাতে কোথায় কোন কাজ হবে, কোন দিক থেকে পাইপলাইন বসালে সুবিধা হবে, টেন্ডার প্রক্রিয়া কী ভাবে হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ে মনিটরিং কমিটিই দেখভাল করবে, যাতে আরও নিখুঁত ভাবে কাজ হয়।’’ আর নিহত শ্রমিকদের প্রসঙ্গে মেয়র বলেছেন, ‘‘কুঁদঘাটে প্রকল্পের কাজ চলাকালীন চার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার গঠিত তদন্ত কমিটি ওই ঘটনায় ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছিল। ফলে সংস্থাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত টালিগঞ্জ, হরিদেবপুর, কুঁদঘাট, বেহালা, ঠাকুরপুকুর, যাদবপুরে কয়েক বছর ধরে কলকাতা পুরসভার কেইআইপি প্রকল্পের কাজ চলছে। ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা, নিকাশির পাম্পিং স্টেশন তৈরি হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা এই কাজ নিয়ে এলাকাবাসীর হয়রানির শেষ নেই বলে লাগাতার অভিযোগ। চলতি বছর কেইআইপির সঙ্গে এক বৈঠকে তাদের ভর্ৎসনা করেছিলেন মেয়র। কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদের অভিযোগ, তা সত্ত্বেও ওই সংস্থার সম্বিৎ ফেরেনি। এ বার কমিটি গড়ে তাদের কাজের উপর নজরদারির কৌশল নিলেন মেয়র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy