প্রতীকী ছবি।
বুলবুল সরতেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জমা জল সাফ করতে উদ্যোগী হচ্ছে পুর প্রশাসন। ডেঙ্গি পরিস্থিতি সম্বন্ধে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরেই কলকাতা পুরভবনে সোমবার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুক্রবার থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমার পাশাপাশি নতুন করে জমা জলের পকেটও হয়েছে। যা ডেঙ্গিবাহী এডিস ইজিপ্টাইয়ের বংশ বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই আগামী ১৫ দিন মশা দমনের অভিযান চালানো হবে। বরোর এগজিকিউটিভ হেল্থ অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওয়ার্ডে ঘুরে জমা জলের পকেট খুঁজে মশার লার্ভা মারতে। অতীনবাবু জানান, বরোর অফিসারদের কাজের উপরে নজর রাখবেন উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। কাজের সমন্বয় ঘটাতেই চেন সিস্টেমে কাজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডেঙ্গি নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে মাঝে মাঝেই সন্দেহ তৈরি হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে এ দিন অতীনবাবু জানান, আগামী ১৩ নভেম্বর পুরসভায় রক্ত পরীক্ষার জন্য চারটি আধুনিক যন্ত্র আসছে। সেই যন্ত্রের নাম ‘রিয়েল টাইম পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন’, সংক্ষেপে আরটিপিসিআর। মূলত মানুষের শরীরে কোন ব্যাক্টিরিয়া, কোন ভাইরাস রয়েছে তা নির্ধারণ করা যাবে সহজে। ডেঙ্গি-সহ টিবি, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি রোগের জীবাণু রয়েছে কি না, তা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তপনকুমার মুখোপাধ্যায়ের দাবি, কলকাতা দেশের একমাত্র পুরসভা যেখানে এই যন্ত্রের ব্যবহার করা হবে। ওই যন্ত্রে মাত্র এক ঘণ্টায় ডেঙ্গির জীবাণুর হদিস মিলবে। এখন এলাইজা পদ্ধতিতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা লাগে।
ডেপুটি মেয়র অতীনবাবু জানান, আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাই বেঙ্গল ওই চারটি যন্ত্র পুরসভাকে দিচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে শহরের ১৬টি বরোয় ওই যন্ত্র রাখার ব্যবস্থা করবে পুর প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy