Advertisement
E-Paper

ফাঁকা জমিতে জঞ্জাল জমা ঠেকাতে নির্মাণের অনুমোদন আটকানোর দাওয়াই

কলকাতা ও শহরতলিতেও ডেঙ্গি-মৃত্যুর ঘটনা ঘটে প্রতি বছর। পুরসভা সূত্রের খবর, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুরসভাগুলির সঙ্গে ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনায় বসে এই নির্দেশ দিয়েছেন।

Garbage

ফাঁকা জমিতে জমা আবর্জনা যদি পুরসভাকে পরিষ্কার করতে হয়, তা হলে সেই কাজের সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে হবে জমির মালিককে। প্রতীকী ছবি।

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ ০৭:২২
Share
Save

আসন্ন বর্ষার আগেই ডেঙ্গির মোকাবিলায় কড়া অবস্থান নিতে চলেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। বহু এলাকায় দেখা যায়, ফাঁকা জমিতে আবর্জনা জমে রয়েছে এবং তা থেকে জন্মাচ্ছে মশা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যার পিছনে থাকে মালিকের গাফিলতি। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মশা দমন করতে গিয়ে সেই জমি যদি পুরসভাকে পরিষ্কার করতে হয়, তা হলে সেই কাজের সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে হবে জমির মালিককে। না-হলে ওই জমিতে বাড়ি তৈরির নকশার অনুমোদন দেবে না সংশ্লিষ্ট পুরসভা।

গত বছর বিধাননগরে পাঁচ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে। কলকাতা ও শহরতলিতেও ডেঙ্গি-মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পুরসভা সূত্রের খবর, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুরসভাগুলির সঙ্গে ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনায় বসে এই নির্দেশ দিয়েছেন।

বিধাননগর পুর এলাকাতেও অজস্র ফাঁকা জমি রয়েছে। তার বেশ কয়েকটি আবার পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। গেটে তালা লাগানো। প্রতি বছরই ডেঙ্গির মরসুমে ওই সমস্ত ফাঁকা জমি নিয়ে আতান্তরে পড়তে হয় পুরসভাকে। বিধাননগর পুর এলাকার শুধু সল্টলেকেই দুশোর বেশি এমন জমি চিহ্নিত হয়েছে। রাজারহাটে ফাঁকা জমির সংখ্যা আরও বেশি। সেখানে বাসিন্দারা তো বটেই, পুরসভার সাফাইকর্মীরাও সুযোগ পেলে ফাঁকা জমিতে আবর্জনা ফেলেন বলে অভিযোগ।

গত বছর কলকাতাতেও এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কোথাও ফাঁকা জমি জঞ্জালে ভরে আছে দেখলে মালিককে নোটিস পাঠানো হচ্ছে। নোটিস পেয়েও মালিক জমি পরিষ্কার না করলে পুরসভাই সেই কাজ করে দিচ্ছে। তার পরে সাফাইয়ের খরচ জুড়ে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট জমির সম্পত্তিকরের সঙ্গে। বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরাও সেই পথে হাঁটতে চলেছেন। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘ওই সমস্ত জমির মালিকদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। জমিতে আবর্জনা পড়ে আছে দেখলে মালিককে নোটিস পাঠানো হবে। সাড়া না মিললে জমি পরিষ্কার করে সেই কাজের বিল পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওই মূল্য না চোকালে তিনি নির্মাণের নকশার অনুমোদন পাবেন না।’’

উল্লেখ্য, অতীতে ওই সমস্ত ফাঁকা জমিতে পড়ে থাকা মাটির ভাঁড় বা থার্মোকলের পাত্রে জমে থাকা জলে ডেঙ্গির মশার লার্ভা মিলেছে। বহু জায়গায় ফাঁকা জমি তালাবন্দি অবস্থায় পড়ে থাকলেও আইনি জটিলতার কারণে সেখানে তালা ভেঙে ঢুকে সাফাই অভিযান চালানো যায়নি। সল্টলেকে যে সব ফাঁকা জমি চিহ্নিত হয়েছে, তার মধ্যে বিভিন্ন সরকারি দফতরের জমিও রয়েছে। ওই সমস্ত জমিও আবর্জনায় ভরে আছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি দফতরগুলির সঙ্গে তাঁরা সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন। কিন্তু ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি নিয়েই তৈরি হয় সমস্যা। সেগুলির ক্ষেত্রে মালিকপক্ষকে নোটিস পাঠালেও তাঁরা বিষয়টি গ্রাহ্য করেন না। তাই এ বার বাড়ির নকশার অনুমোদন আটকানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

KMC garbage

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy