প্রতীকী ছবি।
মাসখানেক আগেই কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিলেন শহরের ভিতরে কাগজ কুড়োনো যাবে না। ধাপায় এক লক্ষ বর্গফুট আয়তনের চাতালে বসেই জঞ্জাল বাছাই করতে হবে। এর পরেই ফুটপাত দখল করে থাকা কাগজকুড়ানিদের সংসার ধীরে ধীরে শহর থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন কর্তৃপক্ষ। কারণ, ফুটপাতে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা বা সেখানে বসেই বস্তা করে আনা আবর্জনা ঢেলে বাছাইয়ের কাজে যেমন পরিবেশ দূষণ বাড়ছে, তেমনই দৃশ্য দূষণও হচ্ছে। এ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতও সতর্ক করেছে পুর প্রশাসনকে। সে কাজের জন্যেই ফুটপাতের দখলদারি সরানো শুরু হচ্ছে কালীঘাট থেকে। ওই মন্দির এলাকা ও সংলগ্ন ফুটপাতবাসীদের জন্য পাকা বাড়ির ব্যবস্থা করছেন কর্তৃপক্ষ।
তবে নতুন করে নয়। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়ে পড়েছিল পুরসভারই একটি বহুতল। পুরসভা সূত্রের খবর, কালীঘাটের ওই ভবনে বাইরে থেকে ঢুকে পড়ে দখলের চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগও আসছিল। সেই ভবনেরই উপরের দু’টি তলায় পরিবারগুলিকে রাখা হবে। একসঙ্গে সেখানে ৩০০ জন থাকতে পারবেন। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করতেই এই মুহূর্তে প্রস্তুতি চলছে সেখানে। পুরসভার মেয়র পারিষদ (সমাজকল্যাণ) ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই কাজ দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন মেয়র। মার্চের প্রথম সপ্তাহেই তা তৈরি হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে পুরসভা। বাসিন্দাদের জন্যে সেখানে শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হবে।
ওই এলাকায় প্রায় ৩৫টি পরিবার রয়েছে বলে জানাচ্ছে পুরসভা। এ ছাড়াও চেতলা, সাদার্ন অ্যাভিনিউ-সহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে কিছু মানুষ থাকেন। যাঁদের ওই ভবনে থাকার জায়গা করে দেওয়া হবে। এক পুর আধিকারিক জানান, উপরের তল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত কয়েকটি পরিবারকে এক বা দোতলার কোনও একটিতে রেখে দেওয়া হবে। পাশেরই একটি গণ শৌচালয় বিনামূল্যে ব্যবহার করার জন্যে তাঁদের কার্ডও দেওয়া হচ্ছে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কালীঘাট এলাকায় পুরসভার ওই ভবনে চলতি সপ্তাহেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এর পরেও একটি প্রশ্ন ঘুরছে পুর মহলে। তা হল, যে ফুটপাত ফাঁকা করতে এই ব্যবস্থা, সেই শূন্যস্থান পূরণ হবে না তো? অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, তেমনই ঘটে থাকে। পুনর্বাসন দিয়ে খালধার বা রাস্তার ফুটপাত ফাঁকা করেও বারবার তা ভরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাম বা তৃণমূল সব আমলেই। এ বারও তেমনই হতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকেরই। এ প্রসঙ্গে অবশ্য পুর কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy