—প্রতীকী চিত্র।
রোগ পুরনো। কিন্তু তার নিরাময়ের পন্থা মিলছে না। শহর ও শহরতলির খালের দু’পাশে জবরদখলের পুরনো রোগের দাওয়াই দিতে ব্যর্থ পুরসভা।
শহর ও শহরতলির একাধিক খালের দু’পাশে অবৈধ দখলদার নতুন নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে খালের দু’পাশ দখলমুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরে সোমবার সেচ ও পুর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে খালের দু’পাশের জবরদখল সরানোর প্রসঙ্গ উঠলেও তার সমাধানে কোনও রূপরেখা বার হল না। পুরসভা সূত্রের খবর, বাইপাস সংলগ্ন যাদবপুর ও কসবার বিভিন্ন এলাকা অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়। পুরসভার নিকাশি বিভাগের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, চৌবাগায় সেচ দফতরের নিকাশি পাম্পিং স্টেশন তৈরি না হলে ওই এলাকায় জল জমা ঠেকানো অসম্ভব। এ দিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘শহরতলির খালপাড় জবরদখল হওয়ায় খাল সংস্কার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দখলদার সরিয়ে কী ভাবে খাল সংস্কার করা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’
শহরের বেলগাছিয়া, কসবা-সহ একাধিক এলাকায় খালের দু’পাশ দখল হয়ে রয়েছে। জোকা সংলগ্ন চড়িয়াল, বজবজের মণিখালের দু’ধারেও বেআইনি দখলদার চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। পুরসভা সূত্রের খবর, জবরদখলের জেরে খাল সংস্কারের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে খালে ময়লা ফেলার প্রবণতাও। মেয়র বলেন, ‘‘অনেকেই খালকে ময়লা ফেলার জায়গা বলে মনে করেন। তাঁদের এই অসচেতনতার ফল সবাইকে ভুগতে হচ্ছে। খালে ময়লা ফেললে পুরসভা কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’’ এ দিনের বৈঠকে বাইপাস বরাবর কসবা, যাদবপুরে জমা জলের সমস্যা ঠেকাতে আলোচনা হয়। আধিকারিকেরা মেয়রকে জানান, চৌবাগায় অবিলম্বে নিকাশি পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা প্রয়োজন হলেও তা সময়সাপেক্ষ। তার আগে খালগুলির সংস্কারে জোর দিতে সেচ দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মেয়র। জবরদখলের সমাধান নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এ নিয়ে মেয়র, মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ আধিকারিকদের একাধিক প্রস্তাব দেন। সেগুলি কী ভাবে বাস্তবায়িত করা হবে, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy