ফাইল চিত্র।
আসন্ন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের কাজে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজারের কাছাকাছি বেসরকারি বাস প্রয়োজন হবে বলে বাসমালিক সংগঠন সূত্রের খবর। পুরভোট ১৯ ডিসেম্বর। তার দু’দিন আগে, ১৭ ডিসেম্বর থেকেই বাসগুলিকে ধাপে ধাপে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। নির্বাচনের কাজে বিপুল সংখ্যক বেসরকারি বাস নেওয়া হলে রাস্তায় পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলবাসও বেশি সংখ্যায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
নির্বাচনে কত সংখ্যায় বাস নেওয়া হবে, তা স্থির করতে সোমবার আলিপুরে সহকারী জেলাশাসকের অফিসে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই বাসমালিক সংগঠনগুলি তাদের মতামত জানায়। প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৬০০টি বেসরকারি বাস, ৭০০টি মিনিবাস এবং ৪০টি লাক্সারি বাস ব্যবহার করার কথা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাসমালিক সংগঠনগুলির দাবি, নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরেও পুলিশের প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাস নেওয়া হয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁদের দাবি, বেশি বাস নেওয়া হতে পারে। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে যে সব বাস নেওয়া হয়েছিল, তার টাকা এখনও বকেয়া থাকার অভিযোগে একাধিক মালিক সংগঠন তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল আগেই। এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে ওই সমস্যা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হয়। বৈঠকে ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেস ছাড়াও ওয়েস্ট বেঙ্গল কনট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘অতীতের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এ বারের নির্বাচনের জন্য ভাড়ার ৯০ শতাংশ অগ্রিম মিলবে বলে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। চালক এবং বাসকর্মীদের দৈনিক ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। দিনপ্রতি ১৭০ টাকা নিতান্তই কম।’’ বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘বকেয়া সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে ১০০ শতাংশ অগ্রিম চেয়েছিলাম। প্রশাসন ৯০ শতাংশ দিতে সম্মত হয়েছে। তবে রাস্তায় যাতে বাসের পরিষেবা ব্যাহত না হয়, তা দেখতে স্কুলবাস বেশি সংখ্যায় নিতে বলেছি।’’
বৈঠক প্রসঙ্গে স্কুলবাস মালিকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল কনট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রায় চারশো স্কুল বাস আমরা জোগান দেব। তাতে রুটের বাসের উপরে চাপ কম পড়বে।’’ অতিমারি পর্বে স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলবাস মালিকদের আয় হয়নি। তাই বাসমালিকদের একাধিক সংগঠন নির্বাচনের কাজে স্কুলবাস ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, সে দিকে তাকিয়েই স্কুলবাস বেশি নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy