কংগ্রেস প্রার্থী সন্তস পাঠকের প্রচার সভায় আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিপি সিং, মুস্তক আলম প্রমূখ। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় পুরভোটের প্রচারের শেষ লগ্নে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামলেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। নিজেদের প্রার্থীদের সমর্থনের পাশাপাশি কিছু ওয়ার্ডে চলছে যৌথ প্রচারও। দুর্নীতি-মুক্ত পুর-প্রশাসন গড়ার ডাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাম ও কংগ্রেসের প্রচারে নিশানায় থাকছে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বোঝাপড়া’র অভিযোগ।
সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বুধবার প্রচারে ছিলেন ট্যাংরা, মেটিয়াবুরুজ এলাকায় এবং বেহালার শকুন্তলা পার্কে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ছিলেন সন্তোষপুর ও যাদবপুরের কিছু ওয়ার্ডে। তৃণমূলের রাজনীতির ফলে বিজেপি কী ভাবে লাভবান হচ্ছে, এলাকাভিত্তিক সভায় তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। একই সুর কংগ্রেস নেতাদেরও। নেতাজি সুভাষ রোডে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের সমর্থনে এ দিন সভায় ছিলেন এআইসিসি-র সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহ, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান মুস্তাক আলম, অমিতাভ চক্রবর্তীরা। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘বাংলায় বিজেপিকে নিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার, তৃণমূল নেত্রী বিজেপির লক্ষ্য পূরণ করতেই ব্যস্ত!’’ মান্নানের বক্তব্য, ‘‘আরএসএসের সভায় গিয়ে তাদের দেশপ্রেমিক আখ্যা দেয় যারা, তারা নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে? বিজেপি এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছে কংগ্রেসই।’’ চৌরঙ্গি বিধানসভা এলাকার কিছু বিজেপি কর্মী এ দিনের সভায় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের ৪৫ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে নেমেছেন বাম নেতা-কর্মীরা। শাঁখারিতলা স্ট্রিটে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ৫০ নম্বরের কংগ্রেস প্রার্থী মানস সরকারের সমর্থনে এ দিন যৌথ মিছিল হয়েছে। ওই এলাকায় সভা করেছেন সিপিএম নেতা রবীন দেবও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আজ, বৃহস্পতিবার ফের শহরে আসার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy