চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজা। —ফাইল চিত্র।
ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দেবেন, অথচ মায়েরা সাহায্য করবেন না, তা কি হয়?
এই পরীক্ষা তো আরও বড়। মানুষের মন জয় করার। তাই সন্তানেরা যখন পরীক্ষা কেন্দ্রে (পড়ুন ভোটকেন্দ্র) দৌড়ে বেড়াচ্ছেন, তখন মায়েরা ব্যস্ত থাকলেন তাঁদের প্রথম নির্বাচনের দিনটি উতরে দেওয়ার কাজে।
দুই মায়ের এক জন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অন্য জন শশী পাঁজা। দু’জনেই রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। একাধিক নির্বাচন লড়ে অভিজ্ঞ। এ বার শশীর মেয়ে পূজা পাঁজা এবং চন্দ্রিমার ছেলে সৌরভ বসু কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী। পূজা লড়ছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডে, সৌরভ ৮৬ নম্বরে। নির্বাচনের দিনে সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের মায়েরাও যেন খানিকটা নেপথ্যে লড়ে গেলেন। দিনের শেষে অবশ্য দুই নেত্রীই জানালেন, প্রতিদ্বন্দ্বী তেমন শক্তপোক্ত নয়। তাই তাঁদের বিশেষ চাপ নিতে হয়নি।
রবিবার দুপুরে গড়িয়াহাট মোড়ে একটি ব্যাঙ্কোয়েটে ঢুকে দেখা গেল, ছেলের ‘ওয়ার রুমে’ বসে ল্যাপটপে চোখ চন্দ্রিমার। ছেলে সৌরভ এক বার ঢিপ করে মায়ের পা ছুঁয়ে প্রণামও করে ফেললেন। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে ছেলেকে ভোট দিয়ে সকাল সকালই ওয়ার রুমে ঢুকে পড়েন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘ছেলেকে বলেছি মাথা ঠান্ডা রাখতে। নির্বাচনী এজেন্ট, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে। প্রথম ভোটে দাঁড়ালেও ছেলে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। একাধিক নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের জিতিয়ে এনেছে।’’ মায়ের কথা শুনে স্মিত হেসে সৌরভ বলেন, ‘‘নির্বাচন পরিচালনা করেছি। এ বার নিজে লড়ছি। কিন্তু মায়ের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা খানিকটা সাহায্য তো করেছেই।’’
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিকেল চারটে থেকে পাঁচটা শুধুমাত্র কোভিড রোগীদের ভোট দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ছিল। এ দিন ওই সময়ে আসায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে ভোট দিতে বারণ করেন পোলিং অফিসার। সেই খবর পেয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে ওই ভোটারকে ভোট দেওয়ানোর ব্যবস্থা করেন শশী। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘কোভিডের সময়ের ওই নিয়ম এ বার ছিল না। পোলিং অফিসার বিভ্রান্ত করছিলেন। খবর পেয়ে নির্বাচন কমিশনকে ফোন করি। এ রকম কিছু কিছু কাজ তো মেয়ের জন্য করতেই হবে।’’ অন্য দিকে পূজার কথায়, ‘‘মায়ের তো দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। সেটা তো ভোটের দিনে কাজে লেগেছেই। প্রয়োজন মতো ফোন করেছি।’’
আবার ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী বসুন্ধরা গোস্বামীকে দেখা গেল, বাইকে চেপে নিজের কেন্দ্রে চক্কর কাটছেন। বসুন্ধরার বাবা, প্রয়াত ক্ষিতি গোস্বামী ছিলেন বাম জমানার মন্ত্রী। নির্বাচনের দিনে তিনিও এ ভাবেই কর্মী, এজেন্টদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর কেন্দ্রে ঘুরতেন। বসুন্ধরা জানালেন, কী ভাবে নির্বাচনের দিনে এজেন্ট, কর্মীদের নিয়ে ভোট পরিচালনা করতেন তাঁর বাবা, তিনি নিজে দেখেছেন। এ দিন সে ভাবেই লড়ে গেলেন। বসুন্ধরার মা সুনন্দা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মেয়েকে বলেছি, রাজনীতি করছ। সততার সঙ্গে করবে। তার থেকে বিচ্যুতি ঘটলে দুঃখ পাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy