(বাঁ দিকে)শাহিদুর রহমান, মুজিবুর রহমান (ডান দিকে) নিজস্ব চিত্র।
এন্টালির কনভেন্ট রোডে পরিত্যক্ত একটি কারখানার ছাদ ভেঙে পড়ে রবিবার রাতে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে পড়া সেই কারখানায় সোমবার ‘বিপজ্জনক’ নোটিস ঝোলাল কলকাতা পুরসভা। এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কারখানাটি ৪০ বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওখানে কোনও বিপজ্জনক বাড়ি ছিল না। রবিবার রাতে একাংশ ভেঙে পড়ার পরে বিপজ্জনক নোটিস ঝোলানো হয়েছে।’’ যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, পুরসভা আগেই এই নোটিস টাঙালে দু’জনের মৃত্যু আটকানো যেত।
এ দিন মেয়র জানান, কনভেন্ট রোডের কারখানাটির জমির চরিত্র বদলাতে কারখানার মালিক শিল্প দফতর থেকে একটি এনওসি নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই পরিত্যক্ত কারখানার জমিতে প্রোমোটিং করার জন্য শিল্প দফতর থেকে এনওসি নিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, মালিক প্রোমোটিং করার ছাড়পত্র নিলেও কারখানার বাড়িটির ন্যূনতম মেরামত করলেন না কেন? বিরোধীদের দাবি, এ ক্ষেত্রে প্রোমোটারেরা পরিত্যক্ত কারখানাটির নিরাপত্তার দায়িত্ব আগেভাগে নিলে এত বড় বিপর্যয় ঘটত না। এ-ও প্রশ্ন উঠেছে যে, এ ক্ষেত্রে কেন সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুরসভা? উত্তরে মেয়র বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমাদের আইন প্রণয়ন করা দরকার।’’
ওই রাতে পরিত্যক্ত কারখানার ছাদ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় তপসিয়ার বাসিন্দা শাহিদুর রহমান (৪২) ও তাঁর ভাইপো মুজিবুর রহমানের (৩৪)। কনভেন্ট রোডের একটি কারখানায় কাজ করতেন শাহিদুর। মুজিবুর ওই রাতে কাকার সঙ্গে দেখা করতে
এসেছিলেন। শাহিদুরের বড় দাদা সাকিলুর রহমান বলেন, ‘‘আমার ভাইয়ের দু’টি শিশুসন্তান। মুজিবুরেরও দু’টি ছেলে আছে। দু’জনেই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল। এখন ওদের পরিবার চলবে কী ভাবে?’’
এ দিন ঘটনাস্থলে এসে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা নমুনা সংগ্রহ করেন। পুরসভার তরফে বাড়ি
ভাঙতে কর্মীরা ঘটনাস্থলে এলেও সেই কাজ এ দিন শুরু হয়নি। পুর বিল্ডিং দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নমুনা সংগ্রহের পরেই বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভাঙা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy