ফাইল চিত্র।
ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সংসদের (ফেটসু) ব্যবহারে ‘ক্ষুব্ধ’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির বিভাগীয় প্রধানেরা সোমবার ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠক বয়কট করলেন। অন্য দিকে, থাকার জায়গা নেই বলে ক্যাম্পাসে
ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে দূর থেকে আসা ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের বহু পড়ুয়ার, এই বিষয়টি বিবেচনার দাবিতে এ দিন ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে সহ-উপাচার্য স্যমন্তক দাসকে ঘেরাও করে ফেটসু। তাঁর সামনেই চলে বিক্ষোভ।
ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে কোনও বিভাগীয় প্রধান না আসায় এ দিন বৈঠক হয়নি। স্যমন্তকবাবু জানান, তিনি একাই ছিলেন। তাঁকে তাঁর দফতরেও যেতে দেননি বিক্ষোভকারীরা। বেশি রাতে অবশ্য ঘেরাও উঠে যায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও (জুটা) এ দিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে সব বিভাগীয় প্রধানকে না-যাওয়ার অনুরোধ করেছিল। তারই মধ্যে এ দিন ওই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য পদত্যাগ করেছেন। নতুন ডিন হয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক চন্দন মজুমদার।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরেই ফেটসু অভিযোগ করেছিল, অনেক শিক্ষক ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস নিতে চাইছেন না। বদলে অনলাইনে পড়ার লিঙ্ক পাঠিয়ে দিচ্ছেন পড়ুয়াদের। তার পরেই কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সব শিক্ষককেই ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস নিতে হবে।
জুটার অভিযোগ, এর পরে চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের থাকার জায়গা না হওয়ার সমস্যাটি তোলে ফেটসু। এই নিয়ে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকগুলিতে শিক্ষকদের প্রতি ফেটসুর কয়েক জনের আচরণও গ্রহণযোগ্য ছিল না বলে জুটার মত। যা নিয়ে তাঁরা ভীষণ ক্ষুব্ধ।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, ‘‘ফেটসুর এই দাবির অর্থ অনলাইনে পঠনপাঠন চালানো। অথচ তারাই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে এসে পড়াতে না-চাওয়ার অভিযোগ এনেছিল।’’ পার্থপ্রতিমবাবু আরও বলেন, ‘‘অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পরে নিশ্চয়ই পরীক্ষাও অনলাইনেই করার দাবি তোলা হবে। অথচ ইউজিসি-র ২০২০ সালের
এপ্রিল মাসের নির্দেশে স্পষ্ট বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ব্যবস্থা সকলের জন্য একই রকম হবে।’’ তাঁর প্রশ্ন, তা হলে বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের যে পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে ক্লাস করছেন, তাঁদের কি অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে?
ফেটসুর চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার বলেন, ‘‘যে পড়ুয়ারা থাকার জায়গা পাচ্ছেন না, বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করুক। ক্যাম্পাসের বাইরে মাত্র দু’ মাসের জন্য ভাড়ায় থাকতে হলেও তাঁদের ১১ মাসের ভাড়া দিতে হবে। সেই অতিরিক্ত টাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিক। অথবা চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সম নীতির কথা কর্তৃপক্ষ জানাক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy