যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ আগেই উঠেছে। এই বিষয়ে সোমবার আরও অভিযোগ জমা পড়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।
২২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও প্রফেসর পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ ছিল। যে-দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে আগে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরা সোমবার উপাচার্যের কাছে নির্দিষ্ট এক প্রার্থীর বিষয়ে নালিশ জানান। ওই প্রার্থীর পিএইচ ডি-র মৌখিক পরীক্ষা যে-দিন হয়, সেটা ছিল নিয়োগ সংক্রান্ত আবেদনের শেষ দিন। ওই প্রার্থী অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের পদে আবেদন করেছিলেন। ওই পদের জন্য প্রার্থীর পিএইচ ডি থাকা আবশ্যিক।
নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ বোর্ডে আচার্য-রাজ্যপালের প্রতিনিধিরও থাকার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। যাদবপুরের অন্দরের খবর, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী এই নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ইন্টারভিউয়ের দিন আসতে চাননি।
অভিযোগ, এক দিনে ৩৭ জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। তাই ইন্টারভিউয়ে প্রার্থীদের প্রায় কিছু বলার সুযোগই ছিল না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর (এপিআই) বা শিক্ষাগত দক্ষতা সূচক এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সেই দক্ষতা সূচককে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
পুরো বিষয়টি আচার্য ধনখড় এবং উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে জানানো হয়। অভিযোগকারী দুই শিক্ষক কয়েক দিন আগে ইউজিসি-র চেয়ারম্যানকেও সব জানিয়ে তদন্ত দাবি করেছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমপ্রকাশ মিশ্র এ দিন এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে উপাচার্য সুরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘তদন্ত নিশ্চয়ই হবে। তার আগে ইন্টারভিউ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy