— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বছরের পর বছর নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় ধর্না-অবস্থানে কাটিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এখনও নিয়োগের জট কাটেনি। আন্দোলনকারী সেই চাকরিপ্রার্থীদের এ বার প্রশ্ন, যোগ্য প্রার্থীরা আর কত দিন রাস্তায় কাটাবেন? তাঁদের বক্তব্য, ন্যায় বিচার বা ‘জাস্টিস’ তাঁরাও পাননি। সেই চাকরিপ্রার্থীরা এ বার আর জি করের ঘটনায় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান তুললেন। সেই সঙ্গে মিছিলে পা মেলাতে গিয়ে নিজেদের নিয়োগ সংক্রান্ত দাবি জানাতেও ভুললেন না।
এত দিন বেশির ভাগ সময়েই চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের নিয়োগের দাবি নিয়ে আলাদা আলাদা মিছিল করেছেন। কিন্তু আর জি করের ঘটনা সবাইকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এল। মঙ্গলবার শিয়ালদহ থেকে যে মিছিল বেরোল, তাতে চাকরিপ্রার্থীদের প্রায় সব ক’টি মঞ্চই এক ছাতার তলায় হাঁটল। মিছিলের ব্যানারে তারা লিখেছিল, ‘বঞ্চিত যুব সম্প্রদায় রাজপথে একসাথে।’ পাশেই লেখা ‘আমার বোন তিলোত্তমার বিচার চাই।’
মুখে কালি মেখে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বীরভূম থেকে আসা মৃন্ময় মণ্ডল। তিনি ২০২২ সালের টেট-উত্তীর্ণ। মৃন্ময় বললেন, ‘‘আমাদের প্রতি সরকার যে বঞ্চনা করছে, সেই বঞ্চনার কালিই মুখে মেখেছি। বহু বছর অপেক্ষার পরে টেট হল ২০২২ সালে। পাশ করলাম।
কিন্তু নিয়োগের কোনও বিজ্ঞপ্তি নেই। আর কবে নিয়োগ হবে?’’ চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, সরকারের এত রকম প্রকল্প চলে। অথচ, নিয়োগ এত কম কেন? তাঁরা জানতে চান, সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল,
প্রাথমিকে টেট-উত্তীর্ণদের ৫০ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে কবে? এ দিনের মিছিলে টেট পাশ থেকে শুরু করে নবম-দশম, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, আইসিডিএসে সুপারভাইজ়ার পদে চাকরিপ্রার্থী, পিএসসি চাকরিপ্রার্থী-সহ অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী একজোট হয়েছিলেন।
চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল করে ডোরিনা ক্রসিংয়ে এসে মানব-বন্ধন তৈরি করেন। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী ফিয়ার্স লেনে বসে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আসেন। মানব-বন্ধন তৈরি করা চাকরিপ্রার্থীরা বললেন, ‘‘শুধু গ্রেফতার করলেই হবে না, নিয়োগ-দুর্নীতি এবং আর জি কর-কাণ্ডে যারা জড়িত, সেই দোষী সকলেরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy