ধৃত অমৃতাভ চৌধুরী ফাইল চিত্র
জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা-কাণ্ডে ধৃত অমৃতাভ চৌধুরীর বৃহস্পতিবার ডিএনএ টেস্ট হবে। ইতিমধ্যেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বয়স ও পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা দূর করতেই ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ধৃতের ডিএনএ টেস্ট করার জন্য সিবিআই-এর আবেদনে সম্মতি দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। ২ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অমৃতাভর সঠিক বয়স জানতে অসিফিকেশন টেস্ট বা হাড়ের বয়স নির্ধারণ পরীক্ষা হবে বলেও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
আসলে জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা কাণ্ডের তদন্তে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছে সিবিআই। সেই তদন্তের প্রথম ধাপই হল ডিএনএ রিপোর্ট। যার ভিত্তিতে ‘মৃত’ বলে দেখানো যাত্রীর পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছিল এবং তাঁর বোন পেয়েছিলেন রেলের চাকরি। ধৃত ব্যক্তিই সত্যিই অমৃতাভ চৌধুরী নাকি জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনায় অমৃতাভর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করতেই এই ডিএনএ টেস্ট।
২০১০ সালের ২৮ মে ঝাড়গ্রামের রাজাবাঁধ এলাকায় মালগাড়ির সঙ্গে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছিল অন্তর্ঘাতের। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এককালীন চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের এক জনকে রেলে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অমৃতাভ জানিয়েছেন, ওই ট্রেনে তিনি মুম্বই যাচ্ছিলেন। মৃতের তালিকায় তাঁর নাম উঠেছিল। সঠিক তথ্য না-দিয়ে তিনি বোনের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন কেন? অমৃতাভ বা তাঁর বাবা মিহিরবাবু এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি।
তদন্তকারীদের কথায়, মৃতের পরিবর্তে তাঁর স্বজনের চাকরির ক্ষেত্রে মৃত্যুর শংসাপত্র, ডিএনএ রিপোর্ট, মৃতের জীবিতাবস্থার ছবি এবং মৃতদেহের ছবি প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ক্ষতিপূরণ ও অমৃতাভর বোন মহুয়ার চাকরির ক্ষেত্রে অমৃতাভের জীবিতাবস্থার ও তাঁর ‘মৃতদেহের’ যে-ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা মিহিরবাবুর জোড়াবাগানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে জীবিত ও মৃতের ছবির সঙ্গে গরমিল ধরা পড়েছে। ওই ছবির দু’টি ফরেন্সিক পরীক্ষা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy