বেহাল: (১) বিপজ্জনক কারখানার মাঝের রাস্তা দিয়েই চলে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার ধারে বিস্তীর্ণ পরিত্যক্ত এলাকা ভরেছে আবর্জনা আর জঙ্গলে। সেই অর্থে টিনের ছাউনি নেই। ঘেরা পাঁচিলের একটি অংশ বিপজ্জনক ভাবে রয়েছে। অন্য অংশ ভেঙেছে অনেক আগেই। যাদবপুর এলাকার রাজা সুবোধ মল্লিক রোডের কৃষ্ণা গ্লাস ফ্যাক্টরির বিস্তীর্ণ অংশ বর্তমানে এ ভাবেই পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের।
ভূমি রাজস্ব দফতরের রেকর্ড অনুযায়ী, ওই জমির পরিমাণ প্রায় ২.৪৮ একর। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিত্যক্ত ওই জমির অনেকটা অংশ ইতিমধ্যেই বেদখল হয়ে গিয়েছে। তবে যেটুকু রয়েছে তাও কম নয়। সেই জায়গা জঙ্গলে ঢেকে মশার আঁতুড়ে পরিণত হয়েছে। পড়ে থেকে বিপজ্জনকও হয়ে গিয়েছে ভবনগুলি। পরিত্যক্ত ভবনের পাশ দিয়েই রাস্তা গিয়েছে। যে কোনও দিন ওই অংশ রাস্তায় ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। বেশি বৃষ্টি হলে এমনই আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটান স্থানীয় মানুষ।
এই কারখানা সংলগ্ন একটি কলোনি এলাকায় একাধিক বাড়ি এবং ফ্ল্যাট রয়েছে। পরিত্যক্ত ভবনের পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। সেই সব বাড়ির বাসিন্দাদের কথায়, ‘‘কোন দিন বিপজ্জনক অংশ ভেঙে আমাদের উপরে পড়বে, সেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। পরিত্যক্ত জমিতে জঙ্গল আর আবর্জনা পড়ে থাকায় ডেঙ্গি মশার বাড়বাড়ন্তের আশঙ্কা রয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, বাম আমলে এই জমি প্রোমোটারের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু শিল্পের জমি প্রোমোটারের হাতে কেন তুলে দেওয়া হবে? এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়েরা। এর পরে সরকার বা শিল্প দফতর ওই পরিত্যক্ত জমি নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা করেনি।
এখনও কেন পদক্ষেপ করছে না পুরসভা? ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্করের কথায়, ‘‘এ নিয়ে একাধিক বার শিল্পমন্ত্রী এবং মেয়রকে জানিয়েছি। লাভ হয়নি। বিপজ্জনক অংশ ভেঙে মাঠ করে রাখুক, এমন আবেদনও করেছি। তাতে অন্তত বিপদ এড়ানো যাবে।’’ তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা আছে। গত কয়েক বছর ধরে ওই জায়গা যথেষ্ট বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। যাতে যে কোনও রকম বিপত্তি এড়ানো যায়, এ জন্য শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy