-ফাইল চিত্র।
শহর জুড়ে অরক্ষিত এটিএমের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন লালবাজারের কর্তারা। সম্প্রতি তিলজলায় একটি রক্ষীবিহীন এটিএমের ভল্ট গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ১৩ লক্ষ টাকা লুটের ঘটনার পরেই লালবাজার কর্তৃপক্ষ থানাগুলিকে নিজেদের এলাকার অরক্ষিত এটিএমগুলির উপরে নজরদারি চালাতে বলেছিলেন। এ বার এটিএমের ভিতরে শুধু নয়, বাইরেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বলল পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, থানাগুলির তরফে বিভিন্ন স্থানীয় ব্যাঙ্কের শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অধীনে থাকা প্রতিটি অরক্ষিত এটিএমের বাইরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে কখন, কারা এটিএমের ভিতরে ঢুকছে, তা স্পষ্ট করে বোঝা যায়। তিলজলা, মাইকেলনগর-সহ একাধিক জায়গায় দুষ্কৃতীরা লুটের আগেই ভিতরে ঢুকে সিসি ক্যামেরা অকেজো করে দিয়েছিল। ওই ক্যামেরার রেকর্ডার নিয়েও চলে গিয়েছে তারা। তাই তদন্তে নেমে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে পুলিশকে। বাইরে সিসি ক্যামেরা থাকলে সেটি অকেজো করা অতটা সহজ হবে না বলেই মনে করছে পুলিশ।
একই সঙ্গে পুলিশের পরামর্শ, রাত ১২টার পরে ব্যাঙ্কগুলি নিজেরাই রক্ষীবিহীন এটিএমের শাটার বন্ধ করে দিক। তবে তা আদৌ সম্ভব কি না, আগে তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে তাদের। দক্ষিণ শহরতলির একটি থানা সূত্রের খবর, এটিএমেও ব্যাঙ্কের মতো বিপদঘন্টি বসানো যায় কি না, তা ভেবে দেখতে বলা হয়েছে। যাতে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে লুটপাট করার চেষ্টা করলেই সেই বিপদঘন্টি বেজে ওঠে। তা হলে এলাকার লোকজন সেই শব্দ শুনে পুলিশে খবর দিতে পারবেন।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রতিটি থানাই নিজেদের মতো করে এলাকার রক্ষীবিহীন এটিএমের তালিকা তৈরি করে সেখানে নজরদারি চালাচ্ছে গোটা রাত। তবে পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে ব্যাঙ্কগুলিকেও কিছু পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। সেগুলি মেনে নিলে এটিএমে লুটপাটের আশঙ্কা অনেকটাই কমবে বলে ধারণা পুলিশের।
পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের তরফে থানাগুলিকে আগেই ব্যাঙ্ক এবং অরক্ষিত এটিএম নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে এটিএম
লুটের ওই ঘটনার পরে ফের একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়ে অফিসারদের থানা এলাকায় নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। সেই মতো থানার মোটরবাইক বাহিনী সারা রাত যেখানে যেখানে এটিএম রয়েছে, সেখানে বার বার করে টহল দিচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর কয়েক আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রতিটি এটিএমে রক্ষী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা মানা হয়নি। আজকাল অধিকাংশ এটিএমেই কোনও রক্ষী থাকেন না। আবার রক্ষী থাকলেও প্রশ্ন ওঠে, এক জনের একার পক্ষে কি একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে ঠেকানো সম্ভব? পুলিশ আধিকারিকদের পরামর্শ, রাতে এটিএমের দরজা খোলার আগে রক্ষীরা যেন ভাল ভাবে দেখে নেন, কে বা কারা এসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy