Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Calcutta High Court

‘যথাযথ কোনও কারণ ছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল’, মন্তব্য হাই কোর্টের

ঝাড়গ্রাম আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ নিম্ন আদালতের নির্দেশকে খারিজ করে দিয়েছে।

Issuing Arrest Warrant against someone without appropriate reason is equivalent to interfering on freedom of individual, says Calcutta High Court

নিম্ন আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৫:৩২
Share: Save:

কারও বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য যথার্থ কারণ প্রয়োজন। উপযুক্ত কারণ ছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার অর্থ, কারও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। বৃহস্পতিবার এক মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য কলকাতা হাই কোর্টের।

পুরনো এক মামলায় ঝাড়গ্রাম আদালত থেকে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে মামলাটির শুনানি হয়। সেখানেই নিম্ন আদালতের বিচারকের নির্দেশের আপত্তি জানান বিচারপতি। খারিজ করে দেওয়া হয় নিম্ন আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ।

বিচারপতি ঘোষের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “উপযুক্ত কারণ ছাড়া জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা মানে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। এই সব ক্ষেত্রে গ্রেফতার বা কারাদণ্ডের অর্থ এক জন ব্যক্তির সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অধিকারে হাত দেওয়া।” নিম্ন আদালতের বিচারক নিজের বিচারবুদ্ধির প্রয়োগ করেননি বলেও মন্তব্য করে হাই কোর্ট।

কোন ক্ষেত্রে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যেতে পারে, সেটাও বৃহস্পতিবারের শুনানিতে স্পষ্ট করেছে আদালত। হাই কোর্ট জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হলে কিংবা তাঁকে সমন পাঠানো হলে, যদি তিনি তাতে গুরুত্ব না দেন, সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে আদালতে টেনে আনার জন্য জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চে যে মামলাটি উঠেছিল, সেটি ঝাড়গ্রাম থানায় ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর দায়ের হওয়া একটি মামলা সংক্রান্ত। অথচ যাঁর বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল, সেই ব্যক্তির প্রথম এফআইআরে নাম ছিল না। পরে অতিরিক্ত এফআইআরে নাম যুক্ত হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য কিছু ধারা এনেছিল পুলিশ। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে যখন পুলিশ ওই মামলায় চার্জশিট জমা দেয়, তাতেও নাম ছিল না ওই ব্যক্তির। কিন্তু সম্প্রতি হাই কোর্টে আবেদনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ খারিজ করে হাই কোর্টের মন্তব্য, আইন মেনেই কাজ করতে হবে নিম্ন আদালতকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE