এই গাড়িতে করেই মাদক ট্যাবলেট পাচার করা হচ্ছিল। নিজস্ব চিত্র
ফের নিষিদ্ধ মাদক ‘ইয়াবা’ ট্যাবলেট উদ্ধার হল শহর থেকে। গত সাত দিনে এ নিয়ে চতুর্থ বার। এই ক’দিনে প্রায় ৩০ কেজি ইয়াবা বাজেয়াপ্ত করা হল। আন্তর্জাতিক বাজারে তার দাম কয়েক কোটি টাকা।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার সকালে তপসিয়া থানা এলাকায় দুই মাদক পাচারকারীর থেকে ১৫ কিলোগ্রামের বেশি ওই ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। ধৃতদের নাম ফারুক আহমেদ ও মুসাদিক আলি ওরফে ছোটু। তারা অসমের কামরূপের বাসিন্দা এবং সেখান থেকেই কারবার চালায়। বাজেয়াপ্ত ইয়াবার বাজার দর ৫৫-৬০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ, রবিবার দু’জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হবে।
কোথা থেকে আসছে ওই নিষিদ্ধ মাদক? তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে ইয়াবা আনিয়ে কলকাতাকে পাচারের করিডর করে তুলেছে পাচারকারীরা। কম খরচে বেশি নেশা হয় বলেই কমবয়সিদের পছন্দের মাদক এটি। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, জাল নোট পাচারের সঙ্গেই ইয়াবা পাচারে ঝুঁকছে পাচারকারীরা। সম্প্রতি যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কয়েক জন জাল নোট পাচারকারী। তাদেরই এক জন বাংলাদেশের নাগরিক।
এ দিন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে খবর আসে তপসিয়া রোড (দক্ষিণ) দিয়ে ওই মাদক পাচারের চেষ্টা চলছে। সেই মতো তপসিয়া রোডে হিন্দু কবরস্থানের কাছে গোয়েন্দারা ওত পেতে থাকেন। নির্দিষ্ট গাড়িকে থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানেই পাওয়া যায় ৭০টি প্যাকেট। প্রতিটিতে ছিল ইয়াবা। মাদকের মোট ওজন ছিল ১৫ কেজি ৬৯৯ গ্রাম।
এর আগে ২ অগস্ট বাজেয়াপ্ত হয় ১৪ হাজারটি ইয়াবা ট্যাবলেট। পরের দিন মালদহের কালিয়াচকের দুই বাসিন্দার থেকে ২২০টি এবং ৭ অগস্ট সল্টলেক স্টেডিয়ামের কাছ থেকে ১০ কেজি ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy