প্রতীকী ছবি।
ধীরে ধীরে ফের শহরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দক্ষিণ দমদম এলাকার পরিসংখ্যানও একই কথা বলছে। অথচ বাজারহাট থেকে পাড়ায় আড্ডার ঠেক, শপিং মল থেকে গণপরিবহণ— পুর এলাকার সর্বত্র এখনও দেখা যাচ্ছে সেই মাস্কহীন ছবি। হাতে গোনা কিছু মানুষ রাস্তায় মাস্ক ব্যবহার করলেও দূরত্ব-বিধি মেনে চলার চেষ্টা করছেন না প্রায় কেউই।
দক্ষিণ দমদম পুরসভায় জমা পড়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দৈনিক গড়ে দু’-এক জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, গত সোমবার তিন জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট এসেছে। গত ১৫ দিনে পুর এলাকায় সংক্রমিত হয়েছেন ২২ জন।
তবে এই পরিসংখ্যানে তেমন ভয় পাওয়ার কারণ দেখছেন না পুরকর্তারা। তাঁদের একাংশের দাবি, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তবে যাতে রোগের প্রকোপ না বাড়ে, সে কারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বেশি করে করোনা পরীক্ষা করানোর উপরে জোর দিচ্ছে পুরসভা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আবার দাবি, বুস্টার ডোজ় নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া গত কয়েক মাস ধরেই মাস্কে অনীহা দেখা গিয়েছে অধিকাংশ শহরবাসীর। তবু সংক্রমণ তেমন বাড়েনি। এ ছাড়া প্রবল গরমে মাস্ক পরে থাকাও কষ্টকর বলে জানাচ্ছেন অনেকে। দমদমের নীহার রায়ের কথায়, ‘‘গত বছরেও মাস্ক পরেছি। কিন্তু এ বার গরমে মাস্ক পরে বেশি ক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। কষ্ট হচ্ছে।’’ যদিও বাঙুর এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, ‘‘করোনার আশঙ্কা নেই, এমনটা ধরে নিয়ে কোনও নিয়মই কেউ মানছেন না। এটা আমাদের পক্ষে ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে।’’
এলাকার শপিং মলগুলিতে প্রবেশের সময়ে হাতে স্যানিটাইজ়ার দিতে দেখা যাচ্ছে বটে, কিন্তু অনেকেই মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ছাড়া আসছেন বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাঁরা আরও বলছেন, মাস্ক বা স্যানিটাইজ়ারের বিক্রিও আগের তুলনায় কমেছে অনেকটা।
তবে করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে চাইছেন দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘আশঙ্কার কিছু নেই। তবে সতর্ক থাকা ভাল। আপাতত বেশি করে করোনা পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া তথ্য সংগ্রহ এবং সচেতনতা বাড়াতে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy