প্রতীকী ছবি
শহরের বস্তিতে ‘মাইক্রো প্ল্যানিং’ মডেলকেই করোনা প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। শনিবার পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পরেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বস্তি অঞ্চলে স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘুরে ঘুরে যে ভাবে নজরদারি চালাচ্ছেন, তা থেকে দেখা গিয়েছে, ওই সমস্ত এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।’’ কলকাতা পুর এলাকায় করোনা প্রতিরোধের দায়িত্বপ্রাপ্ত আলাপনবাবু জানান, সংক্রমণ আটকাতে কী কী করণীয়, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ২৮ জুন থেকে এ পর্যন্ত শহরের বস্তি এলাকায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৪। কিন্তু এই সংখ্যা শহরের বিভিন্ন বাড়ি ও বহুতলের ক্ষেত্রে অনেক বেশি। এ থেকেই বোঝা যায় যে, বস্তি অঞ্চলে সংক্রমণ অনেকটাই ঠেকানো গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হবে। বাসিন্দাদের দেহের তাপমাত্রা মাপার পাশাপাশি প্রয়োজনে ‘পালস অক্সিমিটার’ যন্ত্র দিয়ে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ও পালস রেটও মাপতে পারবেন তাঁরা। এমনকি, প্রতিষেধক দেওয়ার প্রয়োজন হলে ওই কর্মীরাই তা দেবেন। পুরসভাই চিকিৎসার জন্য তাঁদের যাবতীয় যন্ত্রপাতি দেবে। বাসিন্দাদের কেউ যদি সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্র বা সেফ হোমে যেতে চান, তা হলে পুরসভাই সেই ব্যবস্থা করবে। আলাপনবাবু জানান, পুরসভা আরও কয়েকটি সেফ হোম এবং অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া, করোনায় মৃতদের দেহ ঠিক ভাবে রাখার ও মর্যাদার সঙ্গে শেষকৃত্য করার ব্যবস্থাও করবেন পুর কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও জানিয়েছেন, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও যাদবপুরের কিশোর স্টেডিয়ামে কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy