নির্মাণ: হাওড়া স্টেশনের কাছে প্রাচীন চাঁদমারি সেতুর পাশে তৈরি হচ্ছে নতুন উড়ালপুলটি। —নিজস্ব চিত্র।
দূর থেকে দেখলে মনে হবে, জম্মু ও কাশ্মীরের অঞ্জি খাদ সেতুর প্রতিলিপি তৈরি হচ্ছে হাওড়া স্টেশনের ইয়ার্ডের গা ঘেঁষে। কংক্রিটের তৈরি, উল্টো ওয়াই আকারের স্তম্ভের গায়ে কেব্ল বসানোর ব্যবস্থা। হাওড়া স্টেশন লাগোয়া ৯০ বছরের পুরনো চাঁদমারি সেতুর মেয়াদ ফুরিয়ে আসায় তার জায়গা নিতে তৈরি হচ্ছে নতুন এই উড়ালপুল।
হাওড়া স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে কংক্রিটের ধনুকের আকৃতির এই উড়ালপুল স্থানীয় ভাবে চাঁদমারি সেতু বা বাঙ্গালবাবু সেতু নামে পরিচিত। ইংরেজ আমলে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলের তৈরি ‘বো স্ট্রিং’ শ্রেণির মূল সেতুটি ৬৫ মিটার লম্বা এবং ৭.৫ মিটার চওড়া।
শুরুতে ওই জায়গায় রেললাইনের উপরে একটি কাঠের উড়ালপুল ছিল। ১৯ শতকে ঢাকা থেকে হাওড়ায় আসা রামযতন বসু রেললাইন পেরিয়ে অন্য প্রান্তে বাজারে যাওয়ার সুবিধার জন্য একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। পরে ১৯৩৩ সালে ইংরেজরা ওই জায়গায় কংক্রিটের বর্তমান সেতুটি তৈরি করে।
কংক্রিটের দু’লেনের সেই সেতুর মেয়াদই এখন ফুরিয়ে যাওয়ার মুখে। তাই তার জায়গা নিতে নতুন চার লেনের প্রায় ১৫ মিটার চওড়া সেতু তৈরি হচ্ছে। কংক্রিটের একটি স্তম্ভ থেকে একাধিক কেব্লের মাধ্যমে নতুন সেতুটি ঝুলে থাকবে। এই ব্যবস্থায় সেতুর নীচে রেললাইনের এলাকার মধ্যে কোনও স্তম্ভ থাকবে না। বর্তমান সেতুটির জন্য রেললাইন সম্প্রসারণে অসুবিধা রয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় সেতুটি তৈরি হলে হাওড়ায় ইয়ার্ড এবং রেললাইন সম্প্রসারণেও সুবিধা হবে। সে ক্ষেত্রে ট্রেন চলাচল আরও মসৃণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন সেতুর স্তম্ভ নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ, অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজও চলছে। সেই কাজ প্রায় ৪০ শতাংশ শেষ। তবে নতুন সেতু তৈরির পরে ভাঙা পড়বে দীর্ঘ ইতিহাসের সাক্ষী চাঁদমারি সেতু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy