রাস্তার যানজট। প্রতীকী ছবি
বন্দর সংলগ্ন রাস্তায় যানজট এড়ানোর পাশাপাশি, বিদ্যাসাগর সেতুর উপরে চাপ কমাতে নদীর নীচে সুড়ঙ্গপথ তৈরির বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমীক্ষার কথা আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা তথা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবিত সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করে ভারী ট্রাক কলকাতা শহর এড়িয়ে সরাসরি বন্দরে পৌঁছে যাওয়ার পাশাপাশি সেখান থেকে বেরিয়েও আসতে পারবে। এত দিন ওই সুড়ঙ্গপথকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার কথা মাথায় রেখে এগোলেও ভবিষ্যতের যানজট সমস্যার কথা ভেবে বিকল্প ভাবতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
হাওড়া শহর লাগোয়া কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে ওই সুড়ঙ্গপথকে কী ভাবে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের (এনএইচ-১৬) সঙ্গে যুক্ত করা যায়, সে কথা বিবেচনা করতে হচ্ছে। এর জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগোতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী বন্দরে ট্রাক যাতায়াতের বিকল্প পথ নির্দিষ্ট করতে তাই আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে জানাচ্ছেন বন্দরের আধিকারিকেরা। আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে সুড়ঙ্গ নির্মাণের খরচ, সম্ভাব্য এলাকা, প্রকল্পের বাস্তবতা সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তাঁরা। কিন্তু তার পরে ওই পথকে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে। নির্দিষ্ট ভাবে ওই সময়সীমা বছরখানেক বা তার বেশিও হতে পারে বলে ইঙ্গিত করেছেন বন্দরকর্তারা।
সুদূর বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বন্দরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কী ভাবে বন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ মসৃণ করা যায়, তা নিয়ে বছরখানেক ধরে চিন্তাভাবনা করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে নদীপথে ভারী ট্রাক বহনের জন্য বার্জ বা রোরো ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে, সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা গেলে তা পাকাপাকি ভাবে সারা বছর, দিন-রাতের যে কোনও সময়ে ব্যবহার করা যাবে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহী বলেন, ‘‘নদীর খাত প্রায় ৭০০ মিটার চওড়া। ওই অংশে সুড়ঙ্গ নির্মাণের প্রশ্নে সমীক্ষার বিস্তারিত তথ্য আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’’
সম্রাট আরও জানান, তবে ওই পথকে কী ভাবে, কোথায় জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে, তা চূড়ান্ত করার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে-সহ কোন রাস্তার কোথায়, কী সম্প্রসারণ হচ্ছে, তা-ও দেখতে হবে। নদীর পশ্চিম তীরে হাওড়ার দিকে সুড়ঙ্গের সঙ্গে জাতীয় সড়কের সংযোগকারী পথটি সুড়ঙ্গের আকারে, উড়ালপুল, না কি সাধারণ পথ হবে, তা চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের জাহাজ মন্ত্রকের অনুমতি নিতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনার সুফল পেতে কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বন্দরকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy