—ফাইল চিত্র।
গঙ্গার পূর্ব পাড়ের জগন্নাথঘাটের বিকল্প হিসেবে হাওড়ায়, গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ফুল বাজার। আর্থিক সাহায্য করছে রাজ্য সরকারের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড’। বুধবার ওই সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের ‘কপোর্রেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি’ বা সিএসআর তহবিল থেকে এক কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষের হাতে।
হাওড়ার দিকে গঙ্গার কাছেই বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের উল্টো দিকে, পুরসভার তৈরি অব্যবহৃত হাট বিল্ডিংয়ে তৈরি হচ্ছে এই ফুলবাজার। ইতিমধ্যে ওই হাট বিল্ডিং সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। টাকা এসে যাওয়ায় এ বার সেই কাজ আরও গতি পাবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ওই ফুল বাজারে ৩০০ জন ফুলচাষি ও বিক্রেতাকে জায়গা দেওয়া হবে। থাকবে স্টোরেজ ও প্যাকেজিং-এর ব্যবস্থা-সহ ফুল থেকে রং, আবির তৈরির ব্যবস্থাও। আধুনিক ওই বাজারে ফুলচাষিদের পাশাপাশি খুচরো বিক্রেতারাও বসতে পারবেন। সেখানে বসার জন্য পুরসভা থেকে বিক্রেতা ও চাষিদের খুব শীঘ্রই আবেদনপত্র দেওয়া হবে। পুরসভার আয় বাড়াতে তাঁদের থেকে ভাড়া নেওয়া হবে।
জগন্নাথঘাটের ফুল বাজারের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। একেই নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশ, তার উপরে এতটাই ঘিঞ্জি এলাকা যে, ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই নড়াচড়ার জায়গা পান না। তাই সেই বাজারের বিকল্প হিসেবে হাওড়ার ওই ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তল নিয়ে তৈরি হবে এই ফুল বাজার। সেখানে এ রাজ্যের হর্টিকালচার দফতরও অংশ নেবে। পাওয়া যাবে ফুলের বীজ-সহ নানা ধরনের সার। থাকবে ফ্রিজ়িংয়ের ব্যবস্থাও।
হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, জগন্নাথঘাটের ফুল বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে ইতিপূর্বেই একটি সভা করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানে ওই ফুল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তাঁরা হাওড়ার নতুন ফুল বাজারেও স্টল দিতে ইচ্ছুক। এ জন্য তাঁদের কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। তবে স্টলপ্রতি মাসিক ভাড়া কত হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ৩০০ বা ৫০০ টাকার মতো ন্যূনতম ভাড়া নেওয়া হতে পারে বলে খবর। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বাজারে ফুল থেকে রং বার করার জন্য আলাদা একটি ইউনিট থাকবে। সেখানে প্রযুক্তিবিদদের সাহায্যে ফুল থেকে আবির বা রং তৈরি করা হবে। এ ছাড়া, ফুল চাষিরা ফুল নিয়ে এসে ওই বাজারে মজুতও করতে পারবেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার ফুল বিক্রেতা ও চাষি ফুল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যান। তাঁরা যাতে ফুল বাক্সবন্দি করে নিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য এই বাজারে প্যাকেজিং সেন্টারও থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy