বাঁ দিকে, ঘটনাস্থলে মদন মিত্র। ডান জিকে, আহত তৃণমূল কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
বেলঘরিয়ায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ঘিরে ফের রাজনৈতিক তরজা শুরু। বিজেপি-র মদতেই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের। সিন্ডিকেট-দৌরাত্ম্য নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, মদন-ঘনিষ্ঠদের দিকেই আঙুল তুলেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ দেশপ্রিয় নগর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা হয়। আচমকাই বাইকে চেপে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী হাজির হয়। কার্যালয়ের ভিতর থেকে দুই তৃণমূল কর্মীকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যায়। বন্দুকের বাট দিয়ে তাঁদের মাথায় আঘাত করা হয়।
কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ওল্ড নিমতা রোড হয়ে নীলগঞ্জ রথতলার মোড়ে তারা বোমাও ছোড়ে বলে অভিযোগ।
দলের দুই আহত কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একটি মোটরবাইকও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
হামলার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মদন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বুঝতে পেরেছে, ওদের দিন শেষ। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে মুছে গিয়েছে, ব্যারাকপুর, দমদমে নিশ্চিহ্ন। তাই আমাদের দলে দালাল তৈরি করছে। পয়সা খাইয়ে, নেশা করিয়ে দু’পয়সার ক্রিমিনালদের নামাচ্ছে। আজ থেকে আমরা রাতে পাহারা দেব। ডান্ডার দরকার নেই, দলের ঝান্ডা নিয়েই পাহারা দেব। দেখি কে কত বড় মস্তান।’’ মদনের অভিযোগ যদিও খারিজ করে দেন দিলীপ। তাঁর অভিযোগ। মদন-ঘনিষ্ঠরাই পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত খোলসা করেনি পুলিশ। তবে ওই এলাকায় অশান্তি লেগেই থাকে। প্রোমোটিং এবং পুকুর ভরাট করে জমি দখল নিয়ে বরাবরের অশান্তি সেখানেয় তবে এ বার অনেক দিন পর ফের অশান্ত হয়ে উঠল এলাকা। রাত থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। থমথম করছে গোটা এলাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy