—প্রতীকী ছবি।
শহরের যত্রতত্র নির্মাণ বর্জ্য পড়ে থাকা এবং আবর্জনা পোড়ানোর কারণে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এর সমস্যা ও সমাধান খুঁজতে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে টাউন হলে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে পরিবেশবিজ্ঞানীরা নানা বিষয়ের উপরে আলোকপাত করেন। কর্মশালার উদ্বোধন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এ দিন ফিরহাদ জানান, বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের নীল-সবুজ পৃথক পাত্র দেওয়া হলেও তাতে বর্জ্য ঠিক ভাবে ফেলা হচ্ছে না। এ ভাবে যত্রতত্র ময়লা ফেলায় পরিবেশ বাঁচানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে নাগরিকদের আরও সচেতন হতে আবেদন জানান মেয়র। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের পরিবেশ বিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ‘‘শহরের বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ বর্জ্য পড়ে থাকায় ও প্রকাশ্যে আবর্জনা পোড়ানোয় পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। জনগণকে এ ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে।’’
সমুদ্রবিজ্ঞানী অভিজিৎ মিত্রের বক্তব্যে উঠে আসে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রসঙ্গ। গাছের মাধ্যমে কী ভাবে কার্বন নি:সরণ কমানো যায়, সেই বিষয়ে তিনি জানান, কিছু জলজ উদ্ভিদ বর্জ্য শোধনে সাহায্য করে। যা ধাপায় করা হচ্ছে। পরিবেশবিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী জানান, কোভিডের পরে কলকাতা পুরসভার এক থেকে চার নম্বর বরোয় দেখা গিয়েছে, আগের তুলনায় কাঠবিড়ালির সংখ্যা বেড়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক পুনর্বসু চৌধুরী বলেন, ‘‘গাড়ির ধোঁয়া থেকে বায়ুদূষণ হয়। ক্রমবর্ধমান গাড়ির কারণে দূষণ কমাতে ব্যাটারিচালিত যানের ব্যবহারে জোর দিতে হবে।’’
পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দারের আশ্বাস, বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে জোর দিতে পুরসভা গণ শৌচাগারগুলিতে গাড়ি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy