নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দক্ষিণ শহরতলির রাস্তায় চলছে ই-রিকশা। ফাইল চিত্র
নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। নির্দেশ আছে লালবাজারেরও। কিন্তু তা সত্ত্বেও দক্ষিণ শহরতলির কলকাতা পুলিশ এলাকা জুড়ে রমরম করে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার ই-রিকশা চলছে বলে অভিযোগ। যাদবপুর, অজয়নগর, বাঘা যতীন, ঠাকুরপুকুর, হরিদেবপুর, গড়িয়া, রিজেন্ট পার্ক এবং নেতাজিনগরের বিভিন্ন রাস্তায় ওই ই-রিকশা দেখা যাচ্ছে।
লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মোটর ভেহিক্লস আইনে ই-রিকশা বলে কিছু হয় না। ফলে পরিবহণ দফতরে তার নথিভুক্তিও (রেজিস্ট্রেশন) হয় না। কলকাতা হাইকোর্টও টোটো বা ই-রিকশা নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা পুলিশ এলাকায়।
তা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?
পুলিশের একাংশের মতে, মূল শহরে এখনও সে ভাবে ই-রিকশার দেখা না মিললেও শহরতলি ছেয়ে গিয়েছে ওই ধরনের রিকশায়। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন থাকার ফলেই ই-রিকশা বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রথম দিকে পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও বর্তমানে পুলিশি কড়াকড়ি নেই বলেই জানাচ্ছেন ই-রিকশাচালকেরা। তাঁরা জানান, স্থানীয় ইউনিয়নের ছাড়পত্র মিললে যাত্রী পরিবহণে আর অসুবিধা হয় না।
গড়িয়ার এক ই-রিকশাচালক জানান, সোনারপুর এলাকায় তৈরি হচ্ছে এই ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশা। ব্যাটারিতে এক বার চার্জ দিলে আট-দশ ঘণ্টা চালানো যাচ্ছে ই-রিকশা। তবে চালকেরা জানিয়েছেন, মূল রাস্তায় ওই রিকশা নিয়ে ওঠেন না তাঁরা। প্রথম দিকে সাধারণ রিকশাতেই ব্যাটারি বসিয়ে মোটরের মাধ্যমে তা চালানো হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে টোটোর মতো করে ওই ই-রিকশা তৈরি করা হচ্ছে। ই-রিকশার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে মোটরবাইকের চাকা বা টোটোর চাকা। এতে সেগুলির গতি বেড়ে গিয়েছে।
পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, স্কুলভ্যান থেকে শুরু করে সাধারণ ভ্যানেও এখন ওই মোটর বসানো হচ্ছে। যা পুরোপুরি বেআইনি। ব্যাটারিচালিত হওয়ায় ই-রিকশা চলে দ্রুত গতিতে। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যে কোনও সময়ে তা যাত্রী সমেত উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে পারে।
এক পুলিশকর্তা জানান, লালবাজারের তরফে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পুলিশের কর্তাদের মধ্যেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy