প্রতীকী ছবি।
রাতে ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন মত্ত এক চালক। পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, আইনজীবীর মাধ্যমে জরিমানার টাকা দিতেই ছাড়া পেয়ে যান তিনি।
কলকাতায় মত্ত অবস্থায় ধরা পড়লে এ ভাবেই ছাড়া পেয়ে যান অভিযুক্তেরা। অভিযোগ, তার পরে ফের একই কাণ্ড ঘটান তাঁরা। পুলিশ সূত্রের খবর, এই ছবিটা বদলাতে এ বার তৎপর হয়েছে লালবাজার। শনিবার থানা ও ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন, রাতে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে কেউ ধরা পড়লে মামলা রুজু করে তাঁকে গোটা রাত থানাতেই আটকে রাখতে হবে। থানার বদলে পরের দিন আদালত থেকে তাঁকে জামিন নিতে হবে। এ দিন আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ওই নির্দেশ দেন তিনি।
এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘মোটা টাকা নিয়ে মত্ত চালকদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে থানাগুলির বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে। জরিমানার নামে থানাগুলি ইচ্ছেমতো টাকা আদায় করত। কমিশনারের নির্দেশে এই প্রবণতা এ বার বন্ধ হবে।’’
ট্র্যাফিক পুলিশের একাংশের মতে, জরিমানা আদায় পুলিশের উদ্দেশ্য নয়। জরিমানার ভয় দেখিয়ে দুর্ঘটনা আটকানো এবং আইন মানতে শেখানোই মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু জরিমানা দিয়ে বেরিয়েই কোনও চালক ফের মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। সেই কারণেই তাঁদের রাতভর থানায় বসিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
তবে কমিশনারের ওই নির্দেশ পুরোপুরি কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পুলিশকর্মীদের অনেকের মতে, প্রায়ই দেখা যায় মত্ত চালকদের অনেকেই প্রভাবশালী। তাই তাঁদের সারা রাত থানায় বসিয়ে রাখাটা খুব সহজ হবে না।
এ দিনের বৈঠকে কমিশনার দুর্ঘটনা ঠেকাতে বাহিনীকে মত্ত ও বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে আরও বেশি অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে তাঁদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। বিশেষত রাতের শহরে বেশি করে তল্লাশি চালাতে বলেছেন কমিশনার। এক পুলিশকর্তা জানান, বৈঠকে কমিশনার উদাহরণ হিসেবে গত সপ্তাহে বেলেঘাটায় বেপরোয়া গতিতে আসা দু’টি গাড়ির ধাক্কা মারার ঘটনার কথা তুলে ধরেন। ওই ধরনের গাড়ির বিষয়ে বাহিনীকে সতর্ক হতে বলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy