Advertisement
২২ অক্টোবর ২০২৪
Kalighat Skywalk

মুখ্যমন্ত্রী মমতা সময় দিলে কালীপুজোর আগেই উদ্বোধন হতে পারে কালীঘাট স্কাইওয়াকের

উদ্বোধনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে জোরকদমে। স্কাইওয়াক ধরে ভক্তেরা মন্দিরের প্রধান ফটক পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন। স্কাইওয়াকের দুটি প্রান্তে লিফ্‌ট এবং চলমান সিঁড়ি বসানো হচ্ছে।

If Chief Minister Mamata Banerjee gives time, Kalighat Skywalk can be inaugurated before Kali Puja

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:১২
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সময় দিলে কালীপুজোর আগেই উদ্বোধন হতে পারে কালীঘাট স্কাইওয়াকের। উদ্বোধন হয়ে গেলে কালীপুজোর দিনেই হয়তো পুণ্যার্থীরা স্কাইওয়াকে চেপেই কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যেতে পারবেন। তাই এখন দিনরাত চলছে স্কাইওয়াককে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার কাজ। বছর তিনেক আগে শুরু হয়েছিল নির্মাণকাজ। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার জন্য স্কাইওয়াক তৈরির করার পরেই কালীঘাটেও তা তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মমতা। সেই মতো ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয় কাজ। ঠিক হয়েছিল, দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কিন্তু তা করা যায়নি। গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পূর্ত দফতর এবং কলকাতা পুরসভার প্রায় ১০ জন আধিকারিককে নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির তত্ত্বাবধানেই স্কাইওয়াকের কাজ চলছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রশাসনিক ভাবে এই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল শারদোৎসবের সময়। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

If Chief Minister Mamata Banerjee gives time, Kalighat Skywalk can be inaugurated before Kali Puja

জোরকদমে চলছে কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ । —নিজস্ব চিত্র।

উদ্বোধনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে জোর কদমে। স্কাইওয়াক ধরে ভক্তেরা মন্দিরের প্রধান ফটক পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন। স্কাইওয়াকের দুটি প্রান্তে লিফ্‌ট এবং চলমান সিঁড়ি বসানো হচ্ছে। প্রবেশ ও প্রস্থানের পাঁচটি গেটে থাকছে বিশেষ ধরনের চূড়া। আধুনিক পলিকার্বনেট শিট দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে ৪৫০ মিটার দীর্ঘ স্কাইওয়াকের লোহার মূল কাঠামো। কালীঘাট স্কাইওয়াকটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৫০ মিটার, চও়়ড়ায় ১০.৫ মিটার চওড়া। স্কাইওয়াকের জন্য ৭৭ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হলেও, কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় খরচ বেড়ে ৯০ কোটি ছুঁয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। কালীঘাটে আগত পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই এসপি মুখার্জি রোড, মহিম হালদার স্ট্রিট, গুরুপদ হালদার পাড়া রোড, সদানন্দ রোড এবং কালী টেম্পল রোড— এই পাঁচটি জায়গা দিয়ে স্কাইওয়াকে প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ রাখা হয়েছে।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, স্কাইওয়াক তৈরি করতে গিয়ে প্রশাসনকে প্রথম থেকেই নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ওই এলাকার হকার ও ব্যবসায়ীদের সরানো হয়েছে হাজরা পার্কে। স্কাইওয়াক তৈরি হয়ে গেলে তাঁদের আবার পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে। পাশাপাশি, ভূগর্ভস্থ একাধিক পাইপলাইন সরাতে গিয়েও সমস্যা হয়। প্রকল্পের খরচও বাজেটের ৩৩০ কোটি থেকে বেড়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা হয়েছে। রাস্তায় মন্দির সংলগ্ন দোকানগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া, নতুন আলো এবং সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য বাড়তি এই খরচ বলে খবর। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্মাণের সময় স্থানীয় দোকানদারদের স্বার্থ রক্ষা করতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী কালীঘাটের বাজারের পরিবেশ বজায় রাখতে স্কাইওয়াকের নীচে কিছু দোকানপাটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকবে সিসি ক্যামেরা এবং পুরো স্কাইওয়াক জুড়ে বসানো হবে শক্তিশালী এলইডি লাইট।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE