মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল মানুষের খুলি এবং হাড়গোড়। নিজস্ব চিত্র।
ঠাকুরপুকুরে মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল মানুষের খুলি এবং হাড়গোড়! কী ভাবে ওখানে মানুষের হাড়গোড় এবং খুলি পৌঁছলবা কাউকে খুন করে পুঁতে রাখা হয়েছিল কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। হরিদেবপুর থানা এলাকার সত্যেন পার্ক এলাকায় একটি বড় জমি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে ছিল। সেই জমিতে সম্প্রতি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দীর্ঘদিন ফাঁকা থাকায় ওই জমি আগাছায় ঢেকে ছিল। এ দিন সকালে ওই জমি পরিষ্কারের কাজ করছিলেন বিকাশ মণ্ডল এবং অপূর্ব সর্দার। বিকাশ বলেন,‘‘আগাছা পরিষ্কার করতে কোদাল দিয়ে কোপাতেই একটা সাদা প্লাস্টিকে কোদালটা আটকে যায়।”বিকাশের বর্ণনা অনুযায়ী, সাদা প্লাস্টিকটি তিনি কোদাল দিয়ে কুপিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। এর পর একটা বড় সাদা প্লাস্টিক উঠে আসে। তাঁরা বলেন, ‘‘প্লাস্টিকটা তোলার পরেই মনে হয় কিছু একটা জড়ানো রয়েছে ওই প্লাস্টিকে।” এরপর সেই প্লাস্টিক খুলতেই প্রথমে বেরিয়ে আসে মানুষের মাথার খুলি, সঙ্গে হাত ও পায়ের হাড়!
সঙ্গে সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দিয়ে নির্মাণকারী সংস্থাকে জানান তাঁরা। খবর দেওয়া হয় হরিদেবপুর থানাকে। পুলিশ জায়গাটা ঘিরে ফেলে। দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা ওই হাড় এবং করোটি পরীক্ষা করে দেখেন এবং নমুনা সংগ্রহ করেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ওয়াসিম রাজা বলেন,‘‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কঙ্কালটি বাইরে থেকে এনে এখানে ফেলা হয়েছে।” তবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করে দেন যে, ওই কঙ্কাল থেকে এখনই বলা সম্ভব নয় ওই কঙ্কালটি কার এবং তাঁকে খুন করা হয়েছিল কি না।
আরও পড়ুন- ছট শেষে সরোবরের জলে ভেসে উঠছে মরা কচ্ছপ-মাছ! ভোটের জন্য সবাই চুপ, বলছেন পরিবেশবিদরা
আরও পড়ুন-যাকে ধরেছিলেন, ধর্মতলার সেই ‘গুন্ডা’র পুজোতেই লালবাজারের গুন্ডাদমন কর্তারা
ডাক্তারি পড়ুয়াদের ব্যবহৃত কঙ্কাল হওয়ার সম্ভবনাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা। কারণ, সত্যেন পার্কের আশেপাশেই কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে। তবে সেখান থেকে ওই কঙ্কাল পরিত্যক্ত জমিতে কী ভাবে পৌঁছল তা-ও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy