কলকাতায় আবার বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার করা হল। সোমবার পার্ক স্ট্রিটে একটি গাড়ি থেকে নগদ এক কোটি তিন লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। পার্ক স্ট্রিটে একটি অফিসেও তল্লাশি অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি নিউ আলিপুরের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ। রাজেশ কাসেরা নামে ৪৯ বছর বয়সি এক ব্যক্তির গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তখনই উদ্ধার করা হয় টাকা। বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় এবং বৈধ নথি না দেখাতে পারায় তাঁকে আটক করা হয়েছে। কী কারণে এত নগদ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চলতি মাসেই কলকাতায় টাকা উদ্ধার করেছিল লালবাজার। সে বার দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটে একটি গাড়িতে মেলে বান্ডিল বান্ডিল নোট। উদ্ধার করা হয় নগদ ১ কোটি টাকা। এই ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগে, কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে বালিগঞ্জের একটি বেসরকারি অফিসে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

টাকা উদ্ধারের ঘটনা মনে করিয়েছে গত বছর জুলাই মাসের ঘটনাকে। সে বার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। টালিগঞ্জে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া যায় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এর পর গত সেপ্টেম্বর মাসে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি এবং তাঁর নিউটাউনের অফিস থেকে মোট ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। যা নিয়েও হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল। গত মাসে মহাত্মা গান্ধী রোডের কাছে কপিলচরণ বেহারা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১২ লক্ষ টাকা। তাঁকে জেরা করে একটি অফিসের সন্ধান পায় পুলিশ। সেই মতো রবীন্দ্র সরণিতে অবস্থিত ওই অফিসে হানা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। এর পর, চলতি মাসে বালিগঞ্জ থেকে কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। এ বার পার্ক স্ট্রিটে নগদ টাকা উদ্ধার করল পুলিশ।