নীলোৎপল চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিএমআরআই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আঙুল কাটা যাওয়া সেই রোগী নীলোৎপল চক্রবর্তী। তবে তাঁর ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে হাসপাতাল থেকে কাটা আঙুল হারিয়ে যাওয়ার কথা লেখা হয়নি বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ। কাটা আঙুল হারানোর কথা ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে লেখা নিয়ে হাসপাতালের সঙ্গে রোগীর পরিবারের বিবাদ বাধে। শেষে আলিপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
রোগীর পরিবারের বক্তব্য, ‘‘দেরিতে অস্ত্রোপচার করল, আঙুলের কাটা অংশ হারিয়ে ফেলল! অথচ, ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে সে কথা লেখা হবে না কেন? তা হলে তো মনে হবে, সব স্বাভাবিকই ছিল।’’ হাসপাতালের দাবি, বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। তাই যা লেখা হবে, আইনি পদ্ধতিতেই লেখা হবে।
এ দিন ওই হাসপাতাল থেকে নীলোৎপলকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিবারের লোকজন। নীলোৎপলের স্ত্রী চয়নিকার অভিযোগ, ‘‘হাসপাতাল ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে লিখেছে, রোগী আহত অবস্থায় এসেছিলেন। তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিন্তু আঙুলের কাটা অংশই যে তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন, হাসপাতাল তা লিখতে চাইছিল না।’’ তাঁর আরও দাবি, নীলোৎপলও ওই কথা লেখা না থাকলে হাসপাতাল ছাড়তে চাইছিলেন না। চয়নিকা বলেন, ‘‘ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে এ কথা লেখা থাকবে না জানলে কাটা অংশ ছাড়া অস্ত্রোপচারে রাজিই হতাম না আমরা। আমরাই আলিপুর থানায় ফোন করে পুলিশ ডাকি। পুলিশ এসেও ওঁদের রাজি করতে পারেনি।’’
এর পরে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও হাসপাতাল সার্টিফিকেটে আঙুল হারানোর কথা লিখতে রাজি না হওয়ায় রোগীকে নিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় তাঁরা বাড়ি ফেরেন বলে দাবি করেছেন চয়নিকা। তাঁর কথায়, ‘‘হাসপাতাল সব রকম ভাবে দোষ ঢাকার চেষ্টা করল। খানিক বাধ্য হয়েই ছাড়িয়ে আনলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy