ধাননগরের নগরপালকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
নিজের এক্তিয়ারভুক্ত সব এলাকার থানাকে আইনের ধারা সম্পর্কে অবগত করার জন্য বিধাননগরের নগরপালকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার পুলিশি অতি সক্রিয়তার একটি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশের পাশাপাশি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, পুলিশি নোটিসের ছকও ঢেলে সাজাতে হবে ওই কমিশনারেটকে। কোনও মামলায় বাদী বা বিবাদী, কোনও পক্ষই যাতে হয়রানিতে না পড়ে, সে দিকে শীর্ষ অফিসারদের নজর রাখতে হবে। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় একটি জমি-বিবাদের ঘটনায় পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ এসেছিল হাই কোর্টে। অভিযোগ ওঠে, বাগুইআটি থানার পুলিশ মামলাকারীর কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছে। যদিও সরকারি কৌঁসুলি কোর্টে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ দিন ওই মামলায় পুলিশের রিপোর্ট দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি ঘোষ। বাগুইআটি থানার এসআই মধুসূদন বাগ আবেদনকারীর থেকে ভুল ধারায় মুচলেকা লিখিয়েছেন দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এক জন এসআই কী ভাবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা-র ৩৫(৩) ধারায় মুচলেকা লিখিয়ে নিলেন? কেন থানায় তলব করে তথ্য চাওয়ার বদলে মুচলেকার নোটিস দেওয়া হল?
মামলাকারী ইমাদুল বিশ্বাসের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি অভিযোগ করেন, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তাঁর মক্কেলকে হেনস্থা করছে পুলিশ। থানায় ডেকে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। বাগুইআটি থানার এক এএসআই দু’লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন ইমাদুলের কাছে, এমনও অভিযোগ তরুণজ্যোতির। এর পরেই বিচারপতির নির্দেশ, ইমাদুলকে অযথা থানায় ডাকা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy