প্রতীকী ছবি।
রাজারহাটে মোনোরেল চালাতে চায় হিডকো। এ নিয়ে প্রাথমিক সমীক্ষার কাজও শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন হিডকো’র চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দেবাশিস সেন।
শহরাঞ্চলে ভবিষ্যতে যান চলাচল ও পরিবহণ ব্যবস্থা কী হতে চলেছে, তা নিয়ে এ দিন এক আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল বেঙ্গল চেম্বার এবং দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট (টেরি)। সভার পরে দেবাশিসবাবু জানান, যে অংশে মেট্রোরেল নেই, সেখানে মোনোরেল চালানোর কথা ভাবছে রাজ্য। রাজারহাটে মোনোরেল চলতে পারে কি না, তা নিয়ে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৪৫০০ কোটি টাকা। তাঁরা এখন লগ্নিকারীর খোঁজ করবেন বলে জানিয়েছেন দেবাশিসবাবু।
সরকারি সূত্রের খবর, রাজারহাটের একাংশের উপর দিয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রোরেল তৈরির কাজ চলছে। বাকি কোন অংশ দিয়ে উল্টোডাঙা পর্যন্ত মোনোরেল সংযোগ গড়ে তোলা যায়, তা-ই চিহ্নিত করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়।
বস্তুত, বিকল্প যান চলাচলের উপর গোটা দেশেই জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। তাতে শামিল অনেক রাজ্যও। যেমন, দূষণ ও আমদানির খরচ কমাতে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর উপর
জোর দেওয়া হচ্ছে। এ দিন টেরি-র ডিরেক্টর জেনারেল অজয় মাথুর জানান, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ১১টি শহরে বৈদ্যুতিক বাস চালানো হবে। রাজ্যের পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, তার প্রাথমিক প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার সেই প্রকল্পে বৈদ্যুতিক বাস কিনছে। বিভিন্ন
ডিপোয় সেগুলি চার্জ দেওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে।
এ দিন ওই সভায় সিইএসসি-র এমডি (ডিস্ট্রিবিউশন) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরা
কলকাতায় বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন বসানোর ব্যবসায়িক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর জোর দেওয়া হলেও এখনও তা নিয়ে ভারতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। টেরি-র কর্তার দাবি, বৈদ্যুতিক বাসের মতো গণপরিবহণ ব্যবস্থা দিয়ে তা চালু হলে উৎসাহ বাড়বে। পাশাপাশি, বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ির ব্যবহার ও সেগুলির উপযুক্ত চার্জিং পরিকাঠামো গড়ার উপর জোর দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy