ফাইল চিত্র।
নিউ টাউনে আগে ছিল একটিই থানা। এখন তিনটি থানা। ইকো পার্ক, নিউ টাউন এবং টেকনো সিটি থানা। এ ছাড়াও নিউ টাউনের মধ্যেই নারায়ণপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার একটি অংশ রয়েছে। সব মিলিয়ে এখন সেখানে রয়েছে তিনটি পূর্ণাঙ্গ থানা এলাকা এবং দু’টি থানার আংশিক। নিউ টাউনের বাসিন্দাদের বড় অংশের বক্তব্য, নতুন এই ব্যবস্থার ফলে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা। তাই কোন এলাকা, কোন থানার মধ্যে পড়ছে তা বিস্তারিত ভাবে জানানোর দাবি তুলছিলেন বাসিন্দারা। তা হলে হয়রানি কমতে পারে বলে মত তাঁদের। সেই দাবি মতোই এ বার এগোচ্ছে কাজ।
সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়ে এক ব্যক্তি শোনেন, থানার এলাকার পুনর্বিন্যাস হয়েছে। অতএব তাঁকে নতুন থানায় যেতে বলা হয়। ওই ব্যক্তির বক্তব্য, বিষয়টি জানা না থাকায় থানায় অভিযোগ জানাতে অযথা সময় নষ্ট হয়। বাসিন্দাদের আরও বক্তব্য, ঠিকানার কারণেও বিষয়টি নাগরিকদের কাছে স্পষ্ট করা জরুরি।
সমস্যার গুরুত্ব বুঝে বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে একটি মানচিত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল হিডকো। এ বার সেই মানচিত্র তৈরির কাজে পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা কাজ শুরু করেছে বলে হিডকো সূত্রের খবর।
হিডকোর এক কর্তা জানান, মৌজা অথবা জমির দাগ নম্বর ধরে নয়, রাস্তা ধরে সীমানা নির্ধারণের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সে জন্য বিধাননগর ও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। মানচিত্র তৈরি শেষ হলে মানুষকে তা জানাতে দু’ভাবে সামনে আনা হবে। এক, পথ নির্দেশিকা লাগানো হবে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারেন। দুই, সেই মানচিত্র অনলাইনে প্রকাশ করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে। পুলিশের একাংশের মতে, মানচিত্র হয়ে গেলে সমস্যা মিটে যাবে। কারণ, তখন নির্ধারিত সীমানা সম্পর্কে মানুষের ধারণা স্পষ্ট হবে।
হিডকোর এক শীর্ষ কর্তা জানান, নিউ টাউনের মধ্যে যে হেতু একাধিক থানা রয়েছে, তাই কী ভাবে মানচিত্র তৈরি সম্ভব সেই সিদ্ধান্ত নিতেই পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা কাজ শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy