— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সব কিছু ঠিকমতো চললে এ বার কলকাতা শহরে বসবে আন্তর্জাতিক শিশু বইমেলা। গত ১৮ তারিখ সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বই প্রতি বারের মতো এ বারেও কলকাতা বইমেলায় এসেছে। বইমেলার শুরুর দিনেই আয়োজক সংস্থা ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’-এর সদস্যদের মধ্যে থেকে শিশুদের জন্য বইমেলা করার দাবি উঠেছে। তাতে সিলমোহরও দিয়েছেন গিল্ড কর্তৃপক্ষ। বইমেলা শেষ হলেই শিশুদের বইমেলা করার তোড়জোড় শুরু করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
কেন এই ভাবনা?
গিল্ড জানাচ্ছে, প্রতি বছরই কলকাতা বইমেলায় প্রচুর শিশু আসে। কিন্তু, আলাদা করে শিশুসাহিত্যের দিকে অধিকাংশেরই নজর থাকে না। অনেকেই মনে করেন, তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বই পড়ার অভ্যাস শিশু বা নতুন প্রজন্মের মধ্যে অনেক কমে গিয়েছে। তাই বইয়ের জগতে শিশুদের ফিরিয়ে আনতেই এমন উদ্যোগ। সাধারণ বইমেলার মতো শিশুদের বইমেলাতেও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রকাশকের বই এনে হাজির করা হবে। সাহিত্যিকদের নিয়ে বিভিন্ন আলোচনাসভাও করা হবে, যেখানে শিশুসাহিত্য নিয়ে আলাদা করে আলোচনা হবে। এতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বই কিনে পড়ার উৎসাহ তৈরি হবে বলেই মনে করছে গিল্ড। তারা জানিয়েছে, চলতি বইমেলা শেষ হলেই এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। আগামী জুন-জুলাইয়ে ছোটদের বইমেলা করা যায় কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তাভাবনা চলছে। শীতকালে অবশ্য বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের বইমেলা হয়।
কিন্তু সেই সমস্ত মেলার আয়তন হয় অনেক ছোট। তাই গিল্ডের মতো কোনও সংস্থা শুধুমাত্র শিশুদের জন্য বড় করে বইমেলা করলে তার প্রভাব অন্য রকম হবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য সরকার কলকাতা বইমেলার স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে সেন্ট্রাল পার্ককেই চিহ্নিত করেছে। এখন প্রতি বার সেখানে আয়োজিত বইমেলায় বইপ্রেমীদের ভিড় উপচে পড়ে। ফলে সেখানেই যদি ছোটদের জন্য বইমেলার আয়োজন করা হয়, তা হলে বইপ্রেমীদের সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন গিল্ডের সদস্যেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বইমেলায় বড়দের বইয়ের পাশাপাশি শিশুসাহিত্যও প্রচুর বিক্রি হয়। তাই আলাদা করে শিশুসাহিত্যকে মাথায় রেখে বইমেলা করলে তাতে পাঠকেরাও যেমন উৎসাহিত হবেন, তেমনই উৎসাহিত হবেন শিশুসাহিত্যিকরাও।
ত্রিদিব জানান, শিশুদের জন্য বইমেলায় বই যেমন থাকবে, তেমনই তাদের কাছে বইমেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে আলাদা ধরনের কিছু কর্মকাণ্ড ও গেম শোয়ের কথাও তাঁরা ভেবেছেন। এমনকি, দেশ-বিদেশের ছোটদের সিনেমাও দেখানো হতে পারে। আসলে যে কোনও উপায়ে বইয়ের আসরে শিশুদের টেনে আনাটাই তাঁদের লক্ষ্য। এমনটাই দাবি করছে গিল্ড। তারা জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক বইমেলার স্তরে শিশু বইমেলাকেও যাতে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। যদিও সব কিছুই নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপরে। তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে ছোটদের জন্য বইমেলার আয়োজন করতে গিল্ড প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy