প্রতীকী ছবি।
স্কুল চলাকালীন দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা ক্লাসে হইচই করেছিল। অভিযোগ, তাদের ‘শাস্তি’ দিতে পরীক্ষা এক মাস এগিয়ে এনেছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। অভিভাবকদের অভিযোগ, তাঁদের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেননি। আর এক মাস পরের পরীক্ষা এগিয়ে এলে ফল ভাল হবে না আশঙ্কা করেই
মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়েছিল দশম শ্রেণির সেই ছাত্র। সোমবার এমনই অভিযোগে মধ্য কলকাতার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। এমনকি, প্রিন্সিপালের অপসারণও দাবি করলেন তাঁরা।
গত শুক্রবার বিকেলে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া সেন্ট্রাল স্টেশনে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেয়। হাসপাতালে রাতেই তার মৃত্যু হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রিন্সিপালের পরীক্ষা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্তই ওই পড়ুয়াকে অকালমৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ দিন বিক্ষোভে শামিল হন ওই ছাত্রের বাবাও। তবে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।
তবে ওই পড়ুয়ার বাবার এক বন্ধু জানান, ছাত্রটিকে উদ্ধারের পরে পুলিশ তার পকেট থেকে ‘সুইসাইড নোট’ পায়। তাতে সে লিখেছিল মক টেস্টের ফল খারাপ হলে পরীক্ষায় বসতে পারবে না। আর ওই পরীক্ষার নম্বর ফাইনালে যোগ হবে। এত তাড়াতাড়ি পরীক্ষায় বসলে সে ভাল করে পরীক্ষাও দিতে পারবে না। ফল আশানুরূপ না হলে তার পক্ষে বাঁচা সম্ভব নয়। তাই সে পৃথিবী থেকে সরে যাচ্ছে। সুইসাইড নোটের কথা স্বীকার করেছে বৌবাজার থানার পুলিশও। অভিভাবকেরা জানান, তাঁরা এ দিন জমায়েত হয়ে প্রিন্সিপালের অপসারণের জন্য খ্রিস্টান কমিউনিটির ব্রাদারের কাছে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠির প্রতিলিপি তাঁরা বৌবাজার থানা এবং ডিসি সেন্ট্রালের কাছে জমা দেন।
অভিভাবকেরা এ দিন জানান, পুজোর ছুটির আগের দিনই স্কুলের ষাণ্মাসিক পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। স্কুল খুলতেই প্রিন্সিপাল দশম শ্রেণির অভিভাবকদের জানান, ক্লাসে ছেলেরা হইচই করছিল। ক্লাস-টিচারের কথাও শোনেনি। তাই আগামী ২১ নভেম্বরের ‘মক-টেস্ট’ ২১ অক্টোবর, সোমবার নেওয়া হবে। এ দিন অবশ্য ওই ছাত্রের আত্মহত্যার কারণে পরীক্ষা হয়নি।
অভিভাবকদের অভিযোগ, হঠাৎ করে এক মাস পরীক্ষা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেও প্রিন্সিপাল শোনেননি। অভিযোগ, দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া এর পরে স্কুল থেকে বেরিয়ে বাড়ি যাবে বলে নোয়াপাড়ার জন্য মেট্রোও ধরেছিল। পরে সেন্ট্রাল স্টেশনে সে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেয়।
ঘটনাটি নিয়ে এ দিন প্রিন্সিপালের সঙ্গে অবশ্য যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy