সাউথ পয়েন্ট স্কুল
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পড়ুয়াদের টিউশন ফি বৃদ্ধি নিয়ে অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার বৈঠক করল স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। বৈঠক শেষে ওই প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, ফি বৃদ্ধি নিয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছে তারা। ওই প্রস্তাব স্কুল কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
স্কুলে পড়ুয়াদের ফি বৃদ্ধি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ করছেন অভিভাবকেরা। এ দিনের বৈঠকের পরে অভিভাবকদের একাংশ জানিয়েছেন, সাধারণত প্রতি বছর পড়ুয়াদের ফি ৯-১০ শতাংশ হারে বাড়ে। কিন্তু এ বছরে তা এক লাফে বেড়েছে ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ, অতিরিক্ত ১৩ শতাংশ ফি বাড়ছে। তবে অভিভাবকদের অনেকের পক্ষেই এক ধাক্কায় এতটা বাড়তি খরচ জোগাড় করা কষ্টকর। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা প্রস্তাব রেখেছেন, অতিরিক্ত এই ১৩ শতাংশ ফি দু’বছরে ভাগ করে নিতে। অর্থাৎ, চলতি বছরে ১০ শতাংশের সঙ্গে বাড়তি ছয় শতাংশ যোগ করে মোট ১৬ শতাংশ হারে ফি বাড়ানো হোক। পরের বছরে ১০ শতাংশের সঙ্গে বাকি সাত শতাংশ যুক্ত করে মোট ১৭ শতাংশ হারে ফি বর্ধিত করা হোক। এ ভাবে ধাপে ধাপে ফি বৃদ্ধি হলে কিছুটা হলেও অভিভাবকেরা স্বস্তি পাবেন বলে জানানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
এই প্রস্তাব নিয়ে সাত দিনের মধ্যে ভাবনাচিন্তা করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছে অভিভাবকদের ওই প্রতিনিধি দল। স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু ছাড়ের কথা বলা হয়েছিল। যেমন, যদি কোনও অভিভাবকের দু’টি সন্তান এই স্কুলে পড়ে, সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সন্তানের টিউশন ফি-এর ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, এই সব ছাড় তাঁদের দরকার নেই। তাঁরা সার্বিক ভাবে বর্ধিত ফি দু’দফায় কমানোর প্রস্তাব দিচ্ছেন। আমাদের সিদ্ধান্ত পরে জানিয়ে দেব।’’
অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, ফি না বাড়িয়ে আগে পরিকাঠামোর উন্নতির দিকে নজর দিন স্কুল কর্তৃপক্ষ। জুনিয়র স্কুলের কয়েক জন পড়ুয়ার অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন, ক্লাসে বসার বেঞ্চগুলি খুব ছোট। তিন জন পড়ুয়াকে তাতে গাদাগাদি করে বসতে হয়। ক্লাসঘরে নেই পর্যাপ্ত পাখা। শৌচালয় অনেক সময়েই অপরিষ্কার থাকে। আগে সে সব দিকে নজর দেওয়া দরকার বলে দাবি অভিভাবকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy