রাজ্য সম্পাদক তথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, সদিচ্ছার অভাব আছে বলেই চিঠি লিখে টুইটারে দিয়ে প্ররোচনার রাজনীতি করতে হচ্ছে রাজ্যপাল ধনখড়কে। যদিও রাজ্যপালের আহ্বানে মুখ্যমন্ত্রীর সাড়া দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
চলতি রাজভবন-নবান্ন বিতর্কের মধ্যে এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে আসার আহ্বান জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। চিঠি দেওয়ার কথা টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে টুইটারে ব্লক করেছেন। তার পর থেকেই নবান্ন-রাজভবন বিরোধ নয়া মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। সংসদে ধনখড়কে সরানোর জন্য সওয়ালও করেছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ, বিশেষ করে রাজ্যপাল প্রসঙ্গে দেশের অন্য বিজেপি বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এক ছাতার তলায় আনার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এ বার সাংবিধানিক বিষয় নিয়ে থমকে থাকা আলোচনা ফের শুরু করতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল ধনখড়। মমতাকে চিঠি দেওয়ার কথা টুইট করে জানিয়েছেন ধনখড়, সঙ্গে দিয়েছেন তাঁকে পাঠানো চিঠিটিও।
সেই চিঠিতে রাজ্যপাল দাবি করেছেন, দীর্ঘ দিন হয়ে গেল বিভিন্ন বিষয়ে তোলা একাধিক বৈধ প্রশ্নের জবাব মিলছে না। বেশ কিছু বিষয়ে অবিলম্বে আলোচনা দরকার বলেও লিখেছেন তিনি। ধনখড় মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘আপনার অবস্থানের জন্য গণতন্ত্র ও সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখতে আমার উদ্যোগ ব্যর্থ হচ্ছে। যা সাংবিধানিক অচলাবস্থার পথে নিয়ে যেতে পারে।’
WB Guv:
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 17, 2022
Hon’ble CM Mamata Banerjee has been urged to make it convenient for an interaction at Raj Bhavan anytime during the week ahead as lack of response to issues flagged has potential to lead to constitutional stalemate which we both are ordained by our oath to avert. 1/2 pic.twitter.com/HZrERPLzoJ
চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘আগামী সপ্তাহে আপনার সুবিধামতো যে কোনও সময় রাজভবনে আসুন।’
তৃণমূল অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে, সেই চিঠি টুইটারে দেওয়ার মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে। তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, সদিচ্ছার অভাব আছে বলেই চিঠি লিখে টুইটারে দিয়ে প্ররোচনার রাজনীতি করতে হচ্ছে রাজ্যপালকে। তিনি বলছেন, ‘‘যা জানার ইচ্ছে তিনি তো টুইটারেই পোস্ট করতে পারেন!’’ যদিও রাজ্যপালের আহ্বানে মুখ্যমন্ত্রীর সাড়া দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy