প্রতীকী ছবি।
বিজ়নেস ভিসা নিয়ে ব্যবসার অছিলায় নিয়মিত ভারতে আসতেন তিনি। খাতায়কলমে দেখাতেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে জিনিস নিয়ে যাচ্ছেন। শুল্ক দফতরের অভিযোগ, তার আড়ালেই চলছিল সোনা পাচার। সোমবার সকালে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দা দিয়ে ভারতে ঢোকার পরে শুল্ক দফতরের চেক পোস্টে অন্য যাত্রীদের সঙ্গেই পরীক্ষা করা হয় তাঁর। সেখানেই ধরা পড়েন বছর আটত্রিশের যুবক মুনির হোসেন। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুরের গোপালপুরে। শুল্ক কর্তারা জানিয়েছেন, ধৃত মুনির আগেও বাংলাদেশ থেকে সোনা এনে কলকাতায় সরবরাহ করেছেন।
শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, ধৃতের কাছ থেকে কলকাতার বেশ কয়েকটি ঠিকানা এবং লোকের ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। কর্তাদের অভিযোগ, কলকাতা শহরকে সোনা পাচারের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছেন পাচারকারীরা। এখানে সোনা মজুত করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশের অন্যত্র। এ কাজে বিদেশিদের লাগানো হচ্ছে। দু’দিন আগেই দুই চিনা যুবক সোনা পাচার করতে গিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়েন।
শুল্ক কর্তারা জানান, সোমবার সকালে তিনি বাংলাদেশের বুড়িমারি থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দা দিয়ে ভারতে ঢোকেন। সঙ্গে বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল। সেখানে শুল্ক দফতরের চেক পোস্টে অন্যদের সঙ্গে মুনিরকে পরীক্ষা করার সময়ে সন্দেহ হয় অফিসারদের। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে তাঁর কোমরে ও প্যান্টে লুকোনো সোনা পাওয়া যায়। প্লাস্টিকে মোড়া ছোট-বড় ১৩টি সোনার টুকরোর মোট ওজন ২ কিলো ৭৯০ গ্রাম বলে শুল্ক অফিসারেরা জানিয়েছেন। শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, খাঁটি এই সোনার বাজারদর ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা।
জেরায় মুনির জানিয়েছেন, কলকাতায় নয়, এই সোনা নিয়ে তাঁর কোচবিহার শহরের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছনোর কথা ছিল। সেখান থেকে তাঁকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তির হাতেই সোনা তুলে দেওয়ার কথা। জেরায় মুনির জানান, পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পেয়ে এই কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, এই প্রথম বিজ়নেস ভিসা নিয়ে মুনির চ্যাংড়াবান্দা দিয়ে ঢোকেন। এর আগে তিনি বালুরঘাটের হিলি সীমান্ত দিয়ে এ দেশে ঢুকেছেন।
মঙ্গলবার ধৃতকে মেখলিগঞ্জ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy