প্রতীকী ছবি।
টহলদারিতে থানার বাইরে ছিলেন ডিউটি অফিসার। থানা সামলাচ্ছিলেন এক অফিসার এবং কয়েক জন পুলিশকর্মী। হঠাৎই হন্তদন্ত হয়ে হাজির হলেন এক বিদেশিনি। সঙ্গে আরও তিন জন। কী ব্যাপার? ওই বিদেশিনির সঙ্গে কথা বলে অফিসার জানতে পারলেন, জার্মানির বাসিন্দা ওই মহিলা এক বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে কলকাতায় এসেছেন। অনলাইনে একটি সংস্থার মাধ্যমে হোটেল বুক করেছিলেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন, ওই হোটেলে বিদেশি নাগরিকদের থাকার অনুমতি নেই। উল্লেখ্য, বিদেশিদের রাখতে হলে প্রশাসনের বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়। যা ওই হোটেলের ছিল না।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে আলিপুর থানা এলাকার বেকার রোডে। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট হোটেল এবং ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কয়েক হাজার টাকা প্রতারণার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। রাতেই অবশ্য আলিপুর থানার অফিসারেরা ওই জার্মান নাগরিককে ঠাকুরপুকুরে তাঁর এক পরিচিতের বাড়িতে পৌঁছে দেন। পুলিশের দাবি, বিদেশে এসে প্রতারিত হওয়া ওই মহিলা পুলিশি তৎপরতায় খুশি বলে জানিয়েছেন।
লালবাজার জানিয়েছে, জার্মান ওই মহিলার নাম ইনগ্রিড বঙ্গিয় ভান্নি রোল। বাড়ি জার্মানির আচেন প্রদেশে। কর্মসূত্রে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা এবং একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার অলোককুমার সেনের মেয়ের। কাল, বুধবার অলোকবাবুর মেয়ের বিয়ে। সেই উপলক্ষেই ভান্নি রবিবার কলকাতায় পৌঁছন। আগে থেকেই অনলাইনে ওই সংস্থার মাধ্যমে বেকার রোডের হোটেলটি এক সপ্তাহের জন্য বুক করেছিলেন তিনি। কিন্তু রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ হোটেলে পৌঁছে জানতে পারেন, সেখানে বিদেশিদের থাকার অনুমতি নেই।
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল ও রাজ্যের সংঘাতে ‘শান্তির দূত’ কি এডিস
অলোকবাবুর অভিযোগ, তাঁরা হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং ওই বুকিং সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা টাকা ফেরত বা ভান্নিকে ওই হোটেলে থাকতে দিতে রাজি হয়নি। এর পরেই থানার দ্বারস্থ হন তরুণী। তাঁর সঙ্গে থানায় যান অলোকবাবুর পরিবারের সদস্যেরাও। অভিযোগ নেওয়ার পরে পুলিশ তাদের গাড়িতে ভান্নিকে অলোকবাবুদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, অনলাইনে বুকিং হলে প্রথমে আবাসিকদের পরিচয় নেওয়া হয় না। শুধুমাত্র একটি বুকিং নম্বর থাকে। ফলে যিনি ঘর বুক করছেন তিনি ভিন্ দেশের নাগরিক কি না তা তাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই জার্মান তরুণীর বুকিং সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখে হোটেল বুকিং সংস্থার প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy