হেলমেট নেই কিশোর আরোহীর মাথায়। মঙ্গলবার দুপুরে, মেয়ো রোড ও রেড রোডের মোড়ে। নিজস্ব চিত্র
‘আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শিখাও’। এমনই বার্তা দিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ।
শুধুই সাধারণ নাগরিক নন। বিনা হেলমেটে বাইক চালালে কিংবা অন্য কোনও ভাবে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে নিস্তার মিলবে না পুলিশেরও। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার স্পষ্ট নির্দেশ, নিয়ম ভাঙলে রেয়াত করা হবে না পুলিশকর্মী-আধিকারিকদেরও। লালবাজারের দাবি, এমন নির্দেশ সাম্প্রতিক অতীতে দেওয়া হয়নি। সোমবার রাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার তরফে সব থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
রাতের শহরে দু’জায়গায় হেলমেটহীন মোটরবাইক আরোহীদের হাতে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া-ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্তের নিগ্রহের ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসেছিল কলকাতা পুলিশ। বেপরোয়া গাড়ি রুখতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাতের কলকাতার সর্বত্র চলছে গাড়ি ও বাইক তল্লাশি। গত কয়েক দিনে প্রায় ৪৫০০ বাইকচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে লালবাজার।
কলকাতা পুলিশের এ হেন তৎপরতায় মানুষ খুশি হয়েছেন ঠিকই। তবে তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, ট্র্যাফিক আইন মানা নিয়ে ‘এক যাত্রায় পৃথক ফল’ কেন হবে? তাঁদের অভিযোগ, রাজপথে হেলমেটহীন মোটরবাইক আরোহী পুলিশও বিরল নয়। অনেক সময়েই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে হেলমেটহীন ট্র্যাফিক সার্জেন্টকে দেখা যায় বাইকে চেপে টহলদারি চালাতে। কিছু দিন আগেই চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে হেলমেট ছাড়া এক পুলিশকর্মীর মোটরবাইক চালানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ ছাড়া ‘নো পার্কিং’-এ পুলিশের স্টিকার সাঁটা গাড়ির দাঁড়িয়ে থাকা, ট্র্যাফিক আইন ভেঙে পুলিশের গাড়ির বেপরোয়া ভাবে চলাচলও নতুন কিছু নয়। বছর চারেক আগে ভুল রাস্তা ধরে মা উড়ালপুলের উপরে উঠে আটকে পড়েছিল একটি পুলিশের গাড়ি।
লালবাজারের খবর, এ সব অভিযোগ শীর্ষ কর্তাদের কানেও পৌঁছেছে। তাই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, পুলিশকর্মীদেরও হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। না হলে তাঁদেরও জরিমানা হবে।
যদিও প্রশ্ন থেকেই যায়, পুলিশ কমিশনার নির্দেশ দিলেও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কত দূর সক্রিয় হবেন পুলিশকর্মীরা? এমনকি, পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের গাড়ি আইন ভাঙলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারবেন কি নিচুতলার সার্জেন্ট কিংবা কনস্টেবলেরা?
লালবাজারের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রতিদিন শীর্ষ কর্তারা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে রাতের ওই অভিযানের উপরে নজর রাখছেন। পুলিশ কমিশনার অভিযানের শেষে বাহিনীকে মেসেজ করে ধন্যবাদও জানাচ্ছেন।’’
কলকাতা পুলিশ জানাচ্ছে, শহরের রাজপথে বেপরোয়া বাইকআরোহীদের বাগে আনতে বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে প্রায় দু’শো মোটরবাইক। প্রতিদিনই চলতে থাকা ওই তল্লাশি অভিযানে ট্র্যাফিক গার্ড, থানা এবং গোয়েন্দা বিভাগকেও কাজে লাগানো হয়েছিল।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy