এসএসকেএমের হস্টেলে মৃত ছাত্রী সুতপা কর্মকার। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
এসএসকেএমে নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এক যুবককে তলব করল পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে ভবানীপুর থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবক তরুণীর বন্ধু। বুধবার রাতে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ ফোনে কথা বলেছিলেন তরুণী। তার পর সকালে হস্টেলের শৌচাগার থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফোনে কী নিয়ে কথা হয়েছিল, যুবকের কাছে তা জানতে চাওয়া হবে। পুলিশের অনুমান, তরুণীর ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা চলছিল। সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন তিনি। যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এসএসকেএমের ওই নার্সিং ছাত্রীর নাম সুতপা কর্মকার। তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাসিন্দা। নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পড়ুয়া ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে মহিলা হস্টেলের শৌচাগার থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। শৌচাগারের দরজা ভিতর থেকে দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ ছিল দেখে সন্দেহ হয় অন্য আবাসিকদের। তাঁরা কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। সেখান থেকে খবর পায় পুলিশ। তারা এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে।
ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। কাকে শেষ বার তিনি ফোন করেছিলেন, কী কথা হয়েছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে।
ছাত্রীর পরিবারকে মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা রায়গঞ্জ থেকে কলকাতায় আসছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা এলে ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যে মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
কিছু দিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে নদিয়া থেকে আসা বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন ছাত্রটি। তিনি র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যাদবপুরকাণ্ডে কলকাতা শহর উত্তপ্ত, তার মাঝেই এসএসকেএম হাসপাতালে ছাত্রীর মৃত্যু নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy