Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Payment App

এ বার টাকা গায়েব অ্যাপ থেকেও

গ্রাহক সেই লিঙ্ক খুলে টাকা মিটিয়ে পরে জানতে পারছেন, তাঁর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অ্যাপটি থেকে কয়েক হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২০ ০১:১৫
Share: Save:

কৌশলে ডেবিট কার্ডের নম্বর জেনে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ নতুন নয়। বহু লোকের অ্যাকাউন্ট থেকে এ ভাবে টাকা তুলে নেওয়ার ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানায়। লালবাজারের সাইবার থানাতেও এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক ব্যক্তি। এ বার মোটরবাইক সার্ভিস করার অছিলায় টেলিকলিং নম্বর ‘ডাইভার্ট’ করিয়ে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অ্যাপ থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ সামনে এল।

পুলিশ জানায়, একটি মোটরবাইক প্রস্তুতকারক সংস্থার ডিলারের তরফে গত ১৭ জানুয়ারি লালবাজারের সাইবার থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই ডিলারের পক্ষে শরদ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁদের সংস্থার টেলিকলিং নম্বর ডাইভার্ট করিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কেউ বাইক সার্ভিস করানোর জন্য টাকা তুলছে। ওই ব্যক্তি গ্রাহককে প্রথমে বলছে, সার্ভিসিংয়ের জন্য অনলাইনে বুক করতে পাঁচ টাকা লাগবে। ওই টাকা মেটাতে হবে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি অ্যাপে। গ্রাহককে একটি লিঙ্কও দিচ্ছে ওই ব্যক্তি। গ্রাহক সেই লিঙ্ক খুলে টাকা মিটিয়ে পরে জানতে পারছেন, তাঁর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অ্যাপটি থেকে কয়েক হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার শরদ জানান, ১৭ জানুয়ারি তাঁদের সংস্থার তারাতলার অফিসে টেলিকলিং ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। অথচ ওই দিনই সমীরণ মান্না নামে এক গ্রাহকের বন্ধুর অ্যাপ থেকে বাইক সার্ভিসিংয়ের নামে চার হাজারেরও বেশি টাকা তুলে নেওয়া হয়। মহেশতলার শিবরামপুরের বাসিন্দা সমীরণ এ দিন জানান, তাঁকে একটি লিঙ্ক দিয়ে বলা হয়, অনলাইন বুকিং চার্জ হিসেবে পাঁচ টাকা দিতে হবে। নিজের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও অ্যাপ না থাকায় সমীরণ তাঁর বন্ধু রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে বলেন লিঙ্কে উল্লেখ থাকা অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা দিতে। রাজু টাকা জমা দেওয়ার কিছু পরে দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪,২০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

শরদ জানান, শুধু মোটরবাইক সার্ভিসিং নয়, গাড়ি সার্ভিসের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। সমীরণ জানান, ১৭ জানুয়ারি তিনি রাজুকে নিয়ে লালবাজারের সাইবার থানায় যান এবং তাঁকে দিয়ে পৃথক একটি অভিযোগ সেখানে দায়ের করিয়ে এসেছেন। লালবাজার সূত্রের খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এ দিন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Payment App Kolkata Police Scam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE