Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Fire

পুড়ে যাওয়া মেলাবাগান বস্তিতে নতুন ঘর তৈরির কাজ শুরু

স্থানীয় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অস্মি পোদ্দার জানান, মেলাবাগান বস্তির অনেক বাসিন্দাই প্লাস্টিক সংগ্রহ করে মজুত করতেন এবং পরে তা বিক্রি করতেন।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ০৮:২২
Share: Save:

আগুনে ভস্মীভূত হওয়ার চার মাসের মাথায় দক্ষিণ দমদমের মেলাবাগান বস্তিতে ঘর তৈরির কাজ শুরু করল প্রশাসন। কাজ শেষে সেখানকার বাসিন্দাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর। যদিও এলাকাবাসীদের প্রশ্ন, যে ভাবে ওই বস্তির বাসিন্দারা বসবাস করতেন ও সেখানে প্লাস্টিক-সহ নানা দাহ্য বস্তু মজুত করা হত, তাতে আগুন লাগা ছিল সময়ের অপেক্ষা। সেই অবস্থার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য কি আদৌ পদক্ষেপ করবে প্রশাসন?

স্থানীয় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অস্মি পোদ্দার জানান, মেলাবাগান বস্তির অনেক বাসিন্দাই প্লাস্টিক সংগ্রহ করে মজুত করতেন এবং পরে তা বিক্রি করতেন। তবে নতুন করে ঘর তৈরির পরে যাতে সেখানে প্লাস্টিক মজুত করা না হয়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।

গত ১৩ এপ্রিল সকালে ভয়াল আগুনে ছাই হয়ে যায় মেলাবাগান বস্তি। মানুষের প্রাণহানি না হলেও আগুনে ও ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একাধিক গবাদি পশুর। দ্রুত বস্তির বাসিন্দাদের পাশেই রবীন্দ্র ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁদের খাবার ও পোশাকের ব্যবস্থা করেছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। সহযোগিতা করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ও ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসন। তার পর থেকে টানা চার মাস রবীন্দ্র ভবনেই রয়েছেন বস্তির বাসিন্দারা।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমিত পোদ্দার জানান, এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে বাসিন্দাদের বোঝানো হচ্ছে। তাঁরাও প্রশাসনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। প্লাস্টিক-সহ দাহ্য পদার্থ যাতে মজুত করা না হয়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক চেয়ারম্যান পারিষদ জানান, ধ্বংসস্তূপ সরাতে ও পোড়া জায়গা বসবাসের উপযোগী করতে সময় লেগেছে। সম্প্রতি ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fire Dum Dum
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE