প্রতীকী চিত্র
কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চার পড়ুয়ার থেকে দেড় লক্ষেরও বেশি টাকা হাতানোর অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে চিৎপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম হিমাংশু ঘোষ এবং আমান জয়সওয়াল। হিমাংশুর বাড়ি বড়তলা থানা এলাকার এ জে সি বসু রোডে। আমান কসবার বেদিয়াডাঙা ফার্স্ট লেনের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির জন্য এ বছর কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হচ্ছে। টাকা জমা দিতে বা অন্য কারণে কোনও পড়ুয়াকে কলেজে উপস্থিত হতে হচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, কসবার রাজডাঙা মেন রোডের বাসিন্দা ওই চার পড়ুয়ার অভিভাবকদের সঙ্গে হিমাংশুর আলাপ হয় জুলাই মাসে। হিমাংশু নিজেকে কাশীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র বলে দাবি করে। এ-ও জানায়, ওই চার পড়ুয়াকে সে কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবে।
জানা গিয়েছে, ভর্তির ফি বাবদ ওই পড়ুয়াদের প্রত্যেকের থেকে চার দফায় ৪০-৫০ হাজার টাকা করে নেয় হিমাংশু। এর পরে কলেজের নামে ভুয়ো নথি তৈরি করে তার প্রতিলিপি এবং টাকা নেওয়ার রসিদ দেয় তাঁদের। গত শনিবার ওই নথি এবং টাকা জমা দেওয়ার রসিদ নিয়ে চার পড়ুয়া কলেজে ভর্তি হতে গেলে চমকে যান কর্তৃপক্ষ। কলেজের তরফে তাঁদের জানানো হয়, ভর্তির জন্য এত বিপুল টাকা নেওয়া হয় না। তা ছাড়া, এমন নথির প্রতিলিপিও কলেজের মাধ্যমে কাউকে দেওয়া হয়নি। এর পরেই ওই পড়ুয়ারা বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারকের কবলে পড়েছেন। কলেজের তরফেই চিৎপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। শনিবার রাতে এক পড়ুয়ার অভিভাবক রিনা বানকা পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভর্তি হতে গেলে
• বর্তমান পরিস্থিতিতে ফর্মের দাম অথবা আবেদন করার ফি বাবদ টাকা নেওয়া হচ্ছে না
• কলেজের ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করুন
• ফর্মে আবেদনকারীর ইমেল আইডিতে যেন ভুল না থাকে
• ইমেলে পাওয়া আবেদনপত্রের ‘রিসিভ্ড কপি’র সঙ্গে আসল আবেদনপত্র মিলিয়ে নিন
• সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা বিষয়টি পুলিশে জানান
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হিমাংশুর পাশাপাশি আমানও এই প্রতারণা-কাণ্ডে যুক্ত। তার পরেই দুই অভিযুক্তকে ধরা হয়। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে চার দিনের পুলিশি হেফাজত হয়। অভিযোগকারী রিনা বলেন, ‘‘করোনার কথা ভেবে বাড়ি থেকে বেরোইনি। আমার ছেলের মুখে হিমাংশুর কথা জানতে পারি। ছেলে বলেছিল, হিমাংশু ভাল ছেলে। সে-ই অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবে। হিমাংশুর কথা মতো আমরা চার জন ওকে টাকা দিই। কিন্তু ও যে এত বড় প্রতারক, ঘুণাক্ষরেও বুঝিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy