দু’মাস বন্ধ থাকার পরে সম্প্রতি শুরু হয়েছে যাত্রিবাহী উড়ান পরিষেবা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
আজ, সোমবার কলকাতা থেকে দিনে ৮০টি করে উড়ান চালু হচ্ছে। ৮০টি উড়ান ছাড়বে। ৮০টি নামবে। গত ২৮ মে কলকাতা থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত চার দিনে যথাক্রমে ১১, ১১, ১৭ এবং ১৯টি উড়ান যাতায়াত করেছে। দেহের তাপমাত্রা-সহ বিভিন্ন পরীক্ষার কারণে উড়ান ছাড়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে যাত্রীদের বিমানবন্দরে পৌঁছতে হবে।
সাধারণ সময়ে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন পাঁচশো উড়ান ওঠানামা করে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ধীরে ধীরে ৮০ থেকে উড়ানের সংখ্যা বাড়ানো হবে। আজ, সোমবারই ‘বন্দে ভারত’ প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে প্রায় ১৭০ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় আসছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। এটি ‘বন্দে ভারত’ প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসা তৃতীয় উড়ান। এ ছাড়াও কলম্বো ও মায়ানমার থেকে আরও দু’টি উড়ান সে দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের নিয়ে কলকাতায় নেমেছে। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের অধীনে আগামী ৩ জুন রাতে দুবাই থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে বিমান নামবে কলকাতায়।
আজ থেকে দেশীয় উড়ানের সংখ্যা বাড়ায় অ্যারাইভাল এলাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন শহর থেকে আসা যাত্রীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন ওই কর্মীরা। এ বার থেকে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য থার্মাল গান ছাড়াও বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গত বৃহস্পতি এবং শনিবার করোনা সন্দেহে কলকাতায় নামা দুই যাত্রীকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে আসা যাত্রীর রিপোর্টে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। শনিবার মুম্বই থেকে আসা যাত্রীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল রবিবার রাত পর্যন্ত আসেনি।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, প্রথমে ঠিক হয়েছিল, প্রতি ঘণ্টায় চারটির বেশি উড়ান ছাড়বে না। কিন্তু এখন ঘণ্টায় সর্বাধিক আটটি উড়ান ছাড়বে বলে ঠিক হয়েছে। গত ২৮ ও ২৯ মে বিমানবন্দর এলাকায় হলুদ ট্যাক্সি দেখা না গেলেও শনিবার থেকে হলুদ ট্যাক্সি চলতে শুরু করেছে। সোমবার থেকে যে ৮০টি উড়ানের যাত্রীরা কলকাতায় নামবেন তাঁদের জন্য ভলভো বাস, অ্যাপ-ক্যাব ছাড়াও হলুদ ট্যাক্সি পাওয়া যাবে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। তবে রাত ১২টার পরেও কয়েকটি উড়ানের শহরে নামার কথা। নিজস্ব গাড়ি না থাকলে ওই সব বিমানের যাত্রীদের জন্য একমাত্র অ্যাপ-ক্যাবই ভরসা বলে বিমানবন্দরের কর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুলিশি বিক্ষোভ এড়াতে সৈনিক সম্মেলনের নির্দেশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy