প্রতীকী ছবি।
পর পর চুরির ঘটনায় জড়িত বানজারা চক্রের হদিস আগেই পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এ বার চুরির জিনিস কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত বানাজারা রিসিভার চক্রের সন্ধান পেলেন গোয়েন্দারা। চক্রের পাঁচ সদস্যকে হাওড়ার ধূলাগড় থেকে গ্রেফতার করার পরে উদ্ধার হয়েছে ৫০টি মোবাইল। বিভিন্ন সময়ে সেগুলি চুরি করেছিল বানজারার দল। পরে তা কিনে নেয় ধৃত রিসিভার চক্রের সদস্যেরা। সেগুলি বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ ভাবেই তারা ব্যবসা চালায় বলে জানা গিয়েছে।গোয়েন্দাদের দাবি, বানজারাদের হাত ধরে কলকাতা ও শহরতলির চুরি করা মোবাইল ও ল্যাপটপ খিদিরপুরের একটি বাজারের পাশাপাশি পৌঁছে যেত সীমান্তবর্তী জেলা মালদহের কালিয়াচকে।
দেখা গিয়েছে, গত এক মাসে এন্টালি, নারকেলডাঙা থানা এলাকায় দু’টি চুরির ঘটনায় বানজারারা জড়িত। গত মাসে লালবাজারের চুরি দমন শাখার গোয়েন্দারা শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার রেললাইনের ধার থেকে তিন জন বানজারাকে ওই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করে। তবে সেখান থেকে চুরি হওয়া সোনা-রুপো উদ্ধার হলেও মোবাইল বা ল্যাপটপের সন্ধান মেলেনি। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, মোবাইলের খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, বারাসতের আমডাঙা এলাকার সাদ্দাম মাল নামে এক যুবক মোবাইলগুলি কিনে নিচ্ছে।
সাদ্দামের উপরে নজর রাখতে গিয়ে আরও জানা যায়, খিদিরপুরের একটি বাজারে সে কিছু চোরাই মোবাইল বিক্রি করবে শুক্রবার। সেই মতো সেখানে হানা দিয়ে সাদ্দামকে ধরা হয়। মোবাইল কেনার টোপ দিয়ে সাদ্দামের মাধ্যমে ধূলাগড় এবং উলুবেড়িয়ার জামবেড়িয়া থেকে দীনেশ, সৌরভ, গৌতম এবং কেশরকে ধরা হয়। সৌরভ এবং দীনেশ দুই ভাই বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতেরা সকলেই বানাজারা এবং রিসিভার। প্লাস্টিকের ত্রিপল খাটিয়ে ওই এলাকায় থাকছিল। বানজারাদের কাছ থেকেই মোবাইলগুলি নিয়েছিল তারা। যা বিক্রির আগেই পুলিশ উদ্ধার করেছে। লালবাজারের দাবি, ধৃতেরা মোবাইল ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ব্যাপারে পারদর্শী। কালিয়াচকে কয়েক জনের কাছে মোবাইল পাঠাত ওরা। সেই মোবাইল কারা কিনেছে বা সেগুলি বাংলাদেশে পৌঁছে গিয়েছে কি না, জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy