গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ
গত পাঁচ মাস ধরে অবসরকালীন সুবিধা ও পেনশন পাচ্ছেন না কলকাতা পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার পেনশন বিভাগে দেওয়া একটি নোটিসকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই নোটিসের সত্যতাকে অস্বীকার করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কে বা কারা এই নোটিস দিয়েছে তা পুরসভার পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার টাউন হলে নোটিস বিতর্কে মুখ খোলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘পেনশন যাঁদের পাওয়ার কথা তাঁরা পাচ্ছেন। যাঁদের পেনশনের বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তাঁদের একটু দেরি হচ্ছে। কে এই নোটিস দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত শপথ নেওয়ার দিনই মেয়র জানিয়েছিলেন ৭০০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে পুরসভার মাথায়। শুক্রবারও তিনি যে হিসাব দিয়েছেন তা অনেকটাই বেশি। অর্থসঙ্কট প্রসঙ্গ তুলে মেয়র বলেন, ‘‘১০০০ কোটি টাকার বোঝা রয়েছে কলকাতা পুরসভার মাথায়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে পেনশন বন্ধ করে দেব।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর থেকে ৬৪০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর পেনশনের ফাইল আটকে রয়েছে। অবসরের পর বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও পেনশনের টাকা না পেয়ে প্রায়ই সংশ্লিষ্ট বিভাগে এসে দরবার করছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, গত কয়েক মাস ধরে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা রোজই সকাল থেকে পুরসভায় হাজির হয়ে পেনশনের ব্যাপারে তাগাদা দিচ্ছেন। তাঁদের ভিড়ে রীতিমতো লাইন পড়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করার পরে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন ওই পেনশন প্রাপকরা।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এই পেনশন নোটিস প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পুরসভার আর্থিক সংঙ্কটের জন্য কারা দায়ী? বিজেপি তো ওই নোটিস দেয়নি, তৃণমূলের লোকজনই নোটিস দিয়েছেন।’’
কলকাতা পুরসভার অর্থসঙ্কট যে তীব্র হয়েছে তা পুরবোর্ডের প্রথম অধিবেশনে স্বীকার করে নেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তাই আমরা নতুন কোনও প্রকল্প হাতে নিতে পারছি না। কাউন্সিলারদের সাম্মানিক বৃদ্ধির জন্য যে দাবি উঠেছে তাও পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ইচ্ছা থাকলেও অনেক কাজ করে উঠতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy