কেষ্টপুর খাল।—ফাইল চিত্র।
উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাংশে ফাটল দেখা দিয়েছিল। তার পরেই কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ উড়ালপুলটির ওই অংশ বন্ধ করে দেয়। উড়ালপুলের যে অংশের স্তম্ভে ওই ফাটল দেখা দিয়েছে, সেই অংশটি বন্ধ রেখে বর্তমান অন্য অংশটি খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে, উল্টোডাঙা থেকে বিমানবন্দরগামী উড়ালপুলের অংশটি খোলা। কিন্তু ভিআইপি রোড থেকে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দিকে যাওয়া উড়ালপুলের যে অংশটি রয়েছে তা এখনও বন্ধ। ফলে, ওই রাস্তা বরাবর গাড়ি চলাচলে সমস্যা রয়েই গিয়েছে। সেই কারণেই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কেষ্টপুর খালের উপরে ‘বেলি ব্রিজ’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিমানবন্দরের দিক থেকে ভিআইপি রোড ধরে উল্টোডাঙার দিকে যাওয়া গাড়ি কেষ্টপুর খালের উপরে তৈরি বেলি ব্রিজ ধরে সল্টলেকে ঢুকবে। এ জন্য প্রাথমিক ভাবে গোলাঘাটা ও লেক টাউন ফুট ব্রিজের কাছে খালপাড়ের অংশে দু’টি জায়গায় মাটি পরীক্ষাও করা হয়েছে। কেএমডিএ সূত্রের খবর, এই বেলি ব্রিজটি তৈরি করতে মাস দেড়েক সময় লাগতে পারে। কী ভাবে ব্রিজটি বসানো হবে সে নিয়ে এর পরে পরিকল্পনা করা শুরু হবে। বেলি ব্রিজ বসানোর প্রস্তুতির কাজও চলছে বলেও কেএমডিএ সূত্রের খবর। এই ব্রিজ হলে বিমানবন্দর থেকে সল্টলেকগামী গাড়িগুলিকে আর উল্টোডাঙা উড়ালপুল হয়ে আসতে হবে না। এর ফলে উল্টোডাঙা-হাডকো মোড়েও গাড়ির চাপ কিছুটা কমবে বলেই প্রশাসনিক মহলের একাংশের অনুমান।
যদিও সল্টলেকবাসীদের একাংশের মতে, বেলি ব্রিজ ধরে খালপাড় হয়ে সল্টলেকে গাড়ি ঢুকলে যাত্রীদের সময়ের সাশ্রয় হবে ঠিকই। তবে তাতে সল্টলেকে গাড়ির চাপও বাড়বে। কারণ এর ফলে শুধু বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা গাড়িই নয়, লেক টাউনের দিক থেকে আসা গাড়িও সল্টলেকে ঢুকে পড়বে। ফলে যানজট তৈরির আশঙ্কাও থাকছে। সে ক্ষেত্রে ট্র্যাফিকের নজরদারি না বাড়ালে সমস্যা হতে পারে।
যদিও বিধাননগর পুলিশের ট্র্যাফিকের এক কর্তা জানান, বেলি ব্রিজ হলে বিমানবন্দরের দিক থেকে সল্টলেকে যে সব গাড়ি যাবে, তাদের উল্টোডাঙা উড়ালপুল ঘুরে সল্টলেকে ঢুকতে হবে না। সেতু তৈরি হলে সেই অনুসারে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। ফলে যানজটের আশঙ্কা তাঁরা করছেন না বলেই ট্র্যাফিককর্তাদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy