ফাইল চিত্র।
অতিমারি পরিস্থিতিতে গত বছর কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এ বারও পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তার মধ্যেই প্রশাসনের সঙ্গে বাজি বাজার নিয়ে বৈঠকে বসলেন বাজি ব্যবসায়ীদের একাংশ।
‘পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না জানান, তাঁরা কলকাতা পুলিশের ডিসি (রিজ়ার্ভ ফোর্স) শুভঙ্কর ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করে সুষ্ঠু ভাবে বাজি বাজার করা যায়, সে বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে সরকারের মাধ্যমে অনলাইনে বাজি বাজার করা যায় কি না, বা তার বদলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের দোকানে বাজি বিক্রির অনুমতি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, বাজি উৎপাদনের সঙ্গে কয়েক লক্ষ মানুষ জড়িত। গত বছর বাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ বারও তেমন হলে মাঠে মারা পড়বেন তাঁরা। তাই প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য বাজির বাজার করা উচিত। ওই বাজার প্রশাসনিক নজরদারিতে থাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করার নির্দেশিকা এ বছর কার্যকর নেই বলেই অনেকের দাবি। এই পরিস্থিতিতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। বাজির ধোঁয়া বিপদ ডাকতে পারে। বস্তুত, গত বছর শুভঙ্করবাবুদের সংগঠন স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বাজি বাজার বন্ধের কথা জানিয়েছিল। এ বার তাঁদের বক্তব্য, গত বছরের তুলনায় পরিস্থিতি বদলেছে। প্রতিষেধকও দেওয়া হচ্ছে। তাই নিয়ন্ত্রিত ভাবে বাজি বাজার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে আদালতেও নিজেদের মতামত জানাতে পারেন বাজি ব্যবসায়ীরা। পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের বক্তব্য, বাজি পোড়ানো বন্ধ থাকবে কি না, সে ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য প্রশাসনই সিদ্ধান্ত নেবে। তার আগে বাজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবার বৈঠকও হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy