তখন সবে আসতে শুরু করেছেন কর্মীরা। অফিস খুলতে গিয়েই নিরাপত্তারক্ষী দেখলেন, জানলা দিয়ে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শেক্সপিয়র সরণির এক বহুতলের দোতলায় মার্কিন কনস্যুলেটের এক অফিসে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায়।
দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও প্রশ্ন উঠছে বহুতলটির অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে। দমকল সূত্রের খবর, এসি বন্ধ করতে ভুলে যাওয়ায় এই বিপত্তি। দমকল জানায়, আগুনে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার ও যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে।
দমকল বহুতলের অন্য অফিসগুলি খালি করে দেয়। তবে, এতে যে বিপদের আশঙ্কা কমবে, তা মানতে নারাজ খোদ কর্মীরাই। ওই বহুতলেরই একটি অফিসের এক কর্মী বলেন, ‘‘এখানে বেশির ভাগ অফিস খুব ঘিঞ্জি। বড় আগুনে নিমেষেই ছাই হয়ে যেতে পারে গোটা বাড়ি।’’
ওই অঞ্চলের বিভিন্ন অফিস, দোকান, আবাসনের চিত্রটাও একই। নিয়ম রক্ষার্থে প্রতিটি জায়গায় অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র থাকলেও সেগুলির অবস্থা তথৈবচ। কোনওটা পড়ে খালি অবস্থায় তো কোনওটা শেষ কবে ব্যবহার করা হয়েছে, মনে করতে পারছেন না খোদ নিরাপত্তারক্ষীরাই। যন্ত্রের ব্যবহার সর্ম্পকেও ধারণা নেই অনেকের। এসি, কম্পিউটার ও অন্য বৈদ্যুতিন যন্ত্র-সহ বিদ্যুৎবাহী মোটা মোটা তারের জঙ্গলে জতুগৃহ হয়ে রয়েছে শহরের এই কর্মব্যস্ত এলাকা।
দমকলের ডিরেক্টর গৌরপ্রসাদ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের তরফে সব রকম নজরদারিই রাখা হয়। তবে তার মধ্যেও এমন ঘটনা ঘটছে। রাতারাতি সব বদলানো সম্ভব নয়।’’ অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রগুলির দূরবস্থার কথা মেনে নিলেও তার দায় গৌরবাবু চাপিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষের উপর। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্দেশিকাগুলো খাতায় কলমে থেকে যায়। অথচ একটু সচেতন হলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।’’
বাসে আগুন
বুধবার নবান্নের সামনে বাসের পার্কিংয়ে দু’টি বাসে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy